বাসস দেশ-২১ : খাদ্য ব্যবস্থায় কোভিড-১৯ এর প্রভাব মোকাবেলায় বাংলাদেশকে সহযোগিতা দেবে সিজিআইএআর

204

বাসস দেশ-২১
কোভিড-১৯-বাংলাদেশ-খাদ্য
খাদ্য ব্যবস্থায় কোভিড-১৯ এর প্রভাব মোকাবেলায় বাংলাদেশকে সহযোগিতা দেবে সিজিআইএআর
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল, ২০২০ (বাসস দেশ) : বিশ্বের শীর্ষ কৃষি ও খাদ্য গবেষণা সংস্থা কনসালটেটিভ গ্রুপ অন ইন্টারন্যাশনাল এগ্রিকালচার রিসার্চ (সিজিআইএআর) আজ এক বিবৃতিতে কোভিড-১৯ এর কারণে খাদ্যশস্য উৎপাদন, পুষ্টি এবং কৃষি বাণিজ্যের ওপর আসন্ন বিরূপ প্রভাব চিহ্নিত করার পাশাপাশি একই সঙ্গে এসব উদ্বেগের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের কার্যকর পদক্ষেপের প্রশংসা করেছে।
সিজিআইএআর নেটওয়ার্ক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমরা চলমান কৃষি বাণিজ্য অব্যাহত রাখতে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা বজায় রাখতে উৎসাহিত করছি এবং যাতে যথা সময়ে চাষাবাদের জন্য কৃষি সরঞ্জাম কাজে লাগানো যায়। ম্যানিলা ভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল রাইস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (আইআরআরআই) এই সংস্থার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
খাদ্য ব্যবস্থার ওপর কোভিড ১৯ এর প্রভাব মোকাবেলায় এই নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছে এবং আশা করছে খাদ্য খাতের সংকট মোকাবিলায় বিশেষ করে বীজ ক্রয়ে সরকারের আর্থিক সহযোগিতার ঘোষণা ধান ও গম উৎপাদনে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
একই সঙ্গে গ্রুপ শঙ্কা প্রকাশ করছে যে, ‘কোভিড ১৯ মোকাবিলায় জোরালো পদক্ষেপ সত্ত্বেও কৃষক, কৃষিপণ্য ব্যবসায়ী, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা এবং কৃষি ব্যবসা অস্বাভাবিক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে।’
আইআরআরআই গ্রুপের অন্য অংশীদাররা হলো ইন্টারন্যাশনাল মাইজ এন্ড হুইট ইমপ্রুভমেন্ট সেন্টার (সিআইএমএমওয়াইটি), ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (আইএফপিআরআই) এবং ওয়াল্ড ফিস।
বিবৃতিতে বলা হয়, নেটওয়ার্ক তাদের প্রাথমিক বিশ্লেষণে অনেকগুলো ক্রমবর্ধমান সংকট সনাক্ত করেছে , এরমধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূণ হচ্ছে স্বাস্থ্য ও পুষ্টির জন্য জরুরি শাকসবজি, ফলমূল এবং মাছসহ সংরক্ষণ করা যায় না এমন খাবারের প্রাপ্যতা হ্রাস।
এতে বলা হয়, কৃষকরা এখন তাদের উৎপাদিত পচনশীল খাদ্যশস্য ন্যায্য মূল্যে বিক্রয়ের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন অপরদিকে শহরাঞ্চলে মূল্য নিয়ন্ত্রনের ব্যবস্থা সত্ত্বেও খাদ্যপণ্যের উচ্চমূল্যের চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিছু জরুরি ভোগ্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় বিশেষ করে দরিদ্রদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, দেশব্যাপী লকডাউন সত্ত্বেও কৃষি উপকরণ ও পণ্য সামগ্রী পরিবহনের অনুমতি রয়েছে, কৃষিউপকরণ ও খাদ্য সামগ্রী সরবরাহ সংকট কাটাতে ইনফরমাল ও কুরিয়ার পরিবহন সার্ভিস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
জরুরি খাদ্য সরবরাহ ও ভ্যাটেরিনারি সার্ভিস ব্যহত হওয়ায় পশুপালন, পল্ট্রি এবং মৎসচাষ খাত আকস্মিক অপ্রত্যাশিত সংকটের মধ্যে পড়েছে। সামাজিক দূরত্বের পদক্ষেপ চলমান হর্টিকালচার কার্যক্রম এবং বোরো শস্য সংগ্রহ বিলম্বিত হবে।
এসব উদ্বেগ ও চ্যালেঞ্জের ব্যাপারে সিজিআইএআর সেন্টার বাংলাদেশের ব্যাবস্থার আরো ঝুঁকি এড়াতে ‘অগ্রাধিকার ভিত্তিক ’ কার্যক্রম বিবেচনার জন্য সরকারকে বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছে।
গ্রুপ মনে করে খাদ্রপণ্য গ্রাম থেকে শহরে নিয়ে আসার জন্য পরিবহনের সুযোগ আরো জোরদার এবং মার্কেট সিস্টেম থেকে কৃষকদের জরুরি কৃষি উপকরণ সরবরাহ করতে হবে।
বিবৃতিতে কোভিড-১৯ সংকটে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে কড়াকড়ির কারণে বাংলাদেশের খাদ্য ব্যবস্থায় সমর্থন জোগাতে এমনকি বন্দর সমূহ আংশিক বন্ধ থাকায় খাদ্য শস্য ও ভোজ্য তেলের সংকট মোকাবেলায় কর্মপরিকল্পনা গ্রহনের প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
সিজিআইএআর গ্রুপ কোভিড-১৯ মহামারির পরে খাদ্য ব্যবস্থার সংকট মোকাবেলায় আরো সহযোগিতা অব্যাহত রাখার ব্যাপারে তাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে।
বাসস/টিএএন/অনু-এমএবি/১৯১৫/আরজি