বাসস ক্রীড়া-৮ : লালা ছাড়াই বলের সুইং ধরে রাখার খোঁজে বাংলাদেশের পেসাররা

230

বাসস ক্রীড়া-৮
ক্রিকেট-বাংলাদেশ
লালা ছাড়াই বলের সুইং ধরে রাখার খোঁজে বাংলাদেশের পেসাররা
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২০ (বাসস) : করোনাভাইরাসের কারনে বেশ গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় এখন ঝুঁকিপূর্ণ। তাই এই ভাইরাসটি চিন্তায় ফেলেছে পেস বোলারদের। কারন বলের সুইং ধরে রাখতে মুখের লালা দিয়ে বলের এক পাশকে শাইন করে থাকেন তারা। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারনে মুখের লালা আর ব্যবহার করা যাবে না। তাই মুখের লালা ছাড়া কিভাবে বলের সুইং ধরে রাখা যায়, সেই পথই খুঁজছে বাংলাদেশের পেসাররা।
সুইংএর জন্য দীর্ঘক্ষণ বলের এক পাশকে চকচকে রাখার জন্য মুখের লালা ব্যবহার করা হয়। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ অনুসারে এটি স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারন হতে পারে।
করোনাভাইরাস শেষে ক্রিকেট শুরু হলে বিশ্ব হয়তো আবারো লালা ব্যবহার দেখতে পাবে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পেসার এবাদত হোসেন বলেন, ‘লালা ছাড়া বলের শাইনিং ধরে রাখা অনেক বেশি কঠিন। বিশেষভাবে টেস্ট ক্রিকেটে। কিন্তু লালা ব্যবহার নিষিদ্ধ হলে আমরা তাতে অভ্যস্ত হয়ে যাবো। সকল বোলারের ক্ষেত্রেই একই অবস্থা হবে। কিন্তু বলের সুইংএর জন্য তখন বোলাররা অন্য উপায় খুঁজে বের করবে।’
এবাদত জানান ,অতি সম্প্রতি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) লালা ছাড়া বোলিং করেছেন তিনি।
তিনি জানান, ‘এটি অভ্যাসের ব্যাপার। কখনো কখনো আমি লালা ব্যবহার করতাম কিন্তু পরে মনে পড়ে, আমাদের লালা ব্যবহার না করতে বলা হয়েছে। যেভাবেই হোক যেহেতু আমাকে বলে শাইন করতে হবে, লালার পরিবর্তে আমি বিকল্প চিন্তা করি। তবে আমরা কিভাবে বলে শাইন করতে পারি, তা নিয়ে ভবিষ্যতে অবশ্যই আলোচনা হবে এবং আশা করছি, আমরা কোন উপায় পেয়ে যাবো।’
লালা ব্যবহার করা না গেলে বিশেষ করে টেস্ট ক্রিকেট পেসারদের জন্য কঠিন হয়ে যাবে।
দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা এই রীতি বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা সৃস্টি হওয়ায় বোলাররা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।
বিসিবির ডিরেক্টর ও বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, ‘যদি এ বিষয়ে কোন সিদ্বান্ত আসে, তবে আমাদের বিকল্প উপায় খুঁজে বের করতে হবে। আমি মনে করি, বোলাররা ঘাম ব্যবহার করতে পারে।
ঘরোয়া ক্লাব আবাহনী লিমিটেডের প্রধান কোচ মাহমুদ মনে করেন না যে, ঘাম খুব বেশি কার্যকর হবে।
তিনি বলেন, ‘আমি এটি বলতে পারি, লালা ব্যবহার না করা হলেও, আমরা কোন সমাধান বের করতে পারবো।’
বাসস/এএমটি/২০০৫/স্বব