বাসস বিদেশ-২ : ফ্রান্সে করোনাভাইরাসে আরো ৭৬১ জনের মৃত্যু

122

বাসস বিদেশ-২
ভাইরাস-ফ্রান্স-মৃত্যু
ফ্রান্সে করোনাভাইরাসে আরো ৭৬১ জনের মৃত্যু
প্যারিস, ১৮ এপ্রিল, ২০২০ (বাসস ডেস্ক): ফ্রান্স শুক্রবার জানিয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় দেশটির বিভিন্ন হাসপাতাল ও বৃদ্ধনিবাসে কোভিড-১৯ ভাইরাসে আরো ৭৬১ জন প্রাণ হারিয়েছে। তবে, আশার কথা হচ্ছে নতুন করে করোনাভাইরাস রোগীর মোট সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। খবর এএফপি’র।
ফ্রান্সের শীর্ষ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জারোম সালোমন সংবাদিকদের বলেন, ৭৬১ জনের মধ্যে ৪১৮ জন বিভিন্ন হাসপাতালে এবং ৩৪৩ জন বৃদ্ধনিবাসে মারা যায়। এ নিয়ে দেশটিতে মহামারি করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে মোট ১৮ হাজার ৬৮১ জনে দাঁড়ালো।
তবে, এক্ষেত্রে আরো আশার খবর হচ্ছে, পর পর তৃতীয় দিনের মতো হাসপাতালে ভর্তির মোট রোগীর সংখ্যা ১১৫ জন এবং পর পর ৯ দিন ধরে আইসিইউতে থাকা করোনা রোগীর সংখ্যা ২২১ জন কমেছে।
সালোমন বলেন, ফ্রান্সের মাসব্যাপী লকডাউন শুরু থেকে ভালোভাবে এগিয়ে চলছে। তিনি এই লকডাউন প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, আইসিইউ ও হাসপাতালে করোনা রোগীর সংখ্যা হ্রাসের হার অনেক কম হলেও তা অব্যাহত রয়েছে। তিনি আরো বলেন, ফ্রান্স বর্তমানে এ মহামারি ছড়িয়ে পড়ার ধীর গতি লক্ষ্য করছে।
তিনি বলেন, লকডাউন নির্দেশ মেনে চলে এবং বাইরে থাকার সময় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ফ্রান্সের সকল নাগরিক করোনাভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া অনেক ভালোভাবে রোধ করছে।
সালোমন বলেন, আমরা বর্তমানে এ মহামারির লাগাম টেনে ধরেছি। শুরুর দিকে এ ভাইরাস অনেক দ্রুত বিস্তার লাভ করায় বিপুল সংখ্যক মানুষ সংক্রমিত হয়।
প্রতিবেশী দেশ জার্মানীতে ফ্রান্সের চেয়ে অনেক কম লোক কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। দেশটি শুক্রবার জানিয়েছে, তাদের দেশে ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। এ প্রসঙ্গে সালোমন বলেন, বিশ্বের যে কোন একক দেশের সাথে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণের তুলনা করার সময় এখনো আসেনি।
ফ্রান্সে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রোধে গত ১৭ মার্চ লকডাউন ঘোষণা করে তা তারা পালন করে আসছে। কেবলমাত্র জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হওয়ার সুযোগ থাকলেও এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে অবশ্যই উপযুক্ত প্রমাণ সঙ্গে রাখতে হবে।
প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এ সপ্তাহে ঘোষণা দেন, আগামী ১১ মে থেকে লকডাউন শিথিল করা শুরু হতে পারে।
তিনি বলেন, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পর্যায়ক্রমে ফের খুলে দেয়া হতে পারে তবে ক্যাফে, সিনেমা হল এবং সাংস্কৃতিক মঞ্চ বন্ধ থাকবে। তিনি আরো বলেন, ফ্রান্সে মধ্য জুলাইয়ের আগ পর্যন্ত গ্রীষ্মকালীন কোন উৎসব করা যাবে না বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড ফিলিপ এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী অলিভিয়ার ভেরানের রোববার সংবাদ সম্মেলন করার কথা রয়েছে। এ সম্মেলনে তারা লকডাউন কিভাবে শিথিল করা যেতে পারে সে ব্যাপারে দিক নির্দেশনা দিবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
বাসস/এমএজেড/১১৪৫/আরজি