বাসস ক্রীড়া-৬ : সর্বকালের সেরা ফিনিশার ধোনি : হাসি

104

বাসস ক্রীড়া-৬
ক্রিকেট-হাসি-ধোনি
সর্বকালের সেরা ফিনিশার ধোনি : হাসি
সিডনি, ১৫ এপ্রিল ২০২০ (বাসস) : ভারতের দু’টি বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনিকে বিশ্বের সেরা ফিনিশার আখ্যায়িত করলেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ব্যাটসম্যান মাইক হাসি।
ইংল্যান্ডে গত বিশ্বকাপের পর থেকে মাঠের বাইরে রয়েছে ধোনি। তার অবসর নিয়ে ব্যাপক আলোচনা সর্বত্র। কিন্তু স্বয়ং ধোনি এখনো পর্যন্ত অবসর নিয়ে কিছুই বলেননি। তবে অনেকের মত অস্ট্রেলিয়ার মিডল-অর্ডার ব্যাটসম্যান মাইক হাসি ধোনির পক্ষেই গীত গাইলেন।
একটি জনপ্রিয় ক্রিকেট ওয়েবসাইটের ভিডিও সাক্ষাৎকারে হাসি বলেন, ‘ধোনি ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বকালের সেরা ফিনিশার। প্রতিপক্ষকে ও প্রতিপক্ষের অধিনায়ককে চাপে ফেলতে বেশ পারদর্শী সে। ম্যাচের মোড় ঘুড়াতে ও ম্যাচ ভালোভাবে শেষ করার এক অবিশ্বাস্য ক্ষমতা তার মধ্যে আছে।’
ধোনি সর্বকালের সেরা ফিনিশার কেন, সেটির যুক্তিও তুলে ধরেছেন হাসি, ‘ধোনি হল অবিশ্বাস্য শক্তি ও আত্মবিশ্বাসে ভরপুর একজন ক্রিকেটার। এই গুণের জন্যই সর্বকালের সেরা ফিনিশার সে। ধোনির মানসিক দৃঢ়তা অসাধারণ। সে জানে, কখন সীমানার বাইরে বল পাঠাতে হবে। ম্যাচ পরিস্থিতি বোঝার ভালো সমাধান তার কাছে আছে। একেই বলে আত্মবিশ্বাস। যা আমারও নেই।’
আইপিএলের দল চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে ধোনির সাথে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে হাসির। সে সময় ধোনির কাছ থেকে অনেক মূল্যবান পরামর্শ পেয়েছেন হাসি। রান তাড়া করার ফর্মুলাও ধোনির কাছ থেকে শিখেন হাসি, ‘রান তাড়া করতে গিয়ে আমি চেষ্টা করতাম প্রতি ওভারে লক্ষ্য যেন ১২-১৩ রানে গিয়ে না ঠেকে। এটা আমি ধোনির কাছ থেকেই শিখেছি। ও এক অবিশ্বাস্য ক্রিকেটার। যার বিশ্বাস মানসিক চাপ যাকে সব চেয়ে কম গ্রাস করবে, সে-ই ম্যাচটা জিতবে। যে কারণে মাথা ঠান্ডা রেখে ক্রিকেট খেলে সে। ধোনি দ্রুত হারের ধাক্কা ভুলে যেতে পারে। ম্যাচ হারলে একটু হতাশা আসে। কিন্তু পরবর্তী ম্যাচ নিয়ে পরিকল্পনা শুরু করে দেয় সে। যা তার বড় গুণ।’
ধোনি ক্রিজে থাকলে প্রতিপক্ষের বোলাররাই চাপে থাকে বলে জানান হাসি, ‘প্রথম সারির দু’তিন জন আউট হয়ে যাওয়ার পরে বোলাররা যখন দেখে ধোনি ক্রিজে আছে, তাতে ওদেরই চাপ বাড়ে। তখন বোলাররা লাইন-লেন্থহীন হয়ে পড়ে। ফলে রান বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ আসে। ঐ সময়ই নিজের পরিকল্পনা কাজে লাগান ধোনি। সেটি হল- যত বেশি সময় মাথা ঠান্ডা রেখে লড়বে, তত বেশি সময় প্রতিপক্ষের উপর চাপ থাকবে।’
বাসস/এএমটি/১৭৫৫/স্বব