বাসস প্রধানমন্ত্রী-১ (প্রথম কিস্তি) : সবশ্রেণীর মানুষ এবং অর্থনীতি রক্ষায় এক লাখ কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর

126

বাসস প্রধানমন্ত্রী-১ (প্রথম কিস্তি)
শেখ হাসিনা-প্রণোদনা
সবশ্রেণীর মানুষ এবং অর্থনীতি রক্ষায় এক লাখ কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর
ঢাকা, ১৫ এপ্রিল ২০২০ (বাসস) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাঁর সরকার জনগণ ও দেশের অর্থনীতিকে করোনাভাইরাস মহামারী সৃষ্ট সংকট থেকে বাঁচাতেই প্রায় এক লাখ কোটি টাকার বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইতোমধ্যেই প্রায় এক লাখ কোটি টাকার প্রণোদনার আমরা ঘোষণা দিয়েছি। এটা শুধু আজকের জন্য নয়, আমাদের এখনকার যে সমস্যা সেটা সমাধান করা এবং আগামী ৩ অর্থবছর পর্যন্ত যে পরিকল্পনা সেটা বাস্তবায়ন করা।’
‘যাতে এই করোনাভাইরাসের সময়টা পার করে আপনারা আপনাদের ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সবকিছু আবার চালাতে পারেন। যেটা সব শ্রেণীর মানুষ পাবে। ’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘সেই লক্ষ্য সামনে রেখে এবং সেই সুযোগটা সৃষ্টির জন্যই আমরা ৩ বছর মেয়াদি প্রণোদনা প্যাকেজের ঘোষণা দিয়েছি। আশাকরি এই অবস্থার আমরা উত্তোরণ ঘটাতে পারবো।’
শেখ হাসিনা আজ সকালে তাঁর ত্রাণ ও তহবিলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, সংস্থা এবং ব্যক্তি বিশেষের অনুদান গ্রহণকালে প্রদত্ত ভাষণে একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং ভাষণ প্রদান দেন। তাঁর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস পিএমও তে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে অনুদানের চেক গ্রহণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশের একেবারে নিন্ম আয়ের মানুষ- আমাদের দিন মজুর শ্রেণী কামার-কুমার, রিক্সাওয়ালা, ভ্যানওয়ালা থেকে শুরু করে ছোট ছোট দোকানদারগণ এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী-প্রত্যেকের কথাই আমরা চিন্তা করেছি এবং প্রত্যেকের দিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা এই প্রণোদণার ঘোষণা দিয়েছি। সব শিল্প- কলকারখানা এবং ব্যবসা-বাণিজ্য ও যাতে চালু থাকে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের জিডিপি’র ৩ দশমিক ৩ শতাংশ এই প্রণোদণার খাতে আমরা ব্যয় করবো বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।’
তিনি বলেন, আজকের যে অর্থনৈতিক মন্দা সেটা বিশ্বব্যাপীই দেখা দেবে,সেটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় কথা। সেজন্য বাংলাদেশকে সুরক্ষিত করার জন্যই আমরা খাদ্য উৎপাদনে বিশেষভাবে জোর দিচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষকে বাঁচাতে হবে, সুরক্ষিত করতে হবে, পরিবারকে সুরক্ষা করতে হবে। এজন্যই বাইরের লোকের সঙ্গে না মেশা, জনসমাগম যেখানে সেখানে না যাওয়ার মাধ্যমে নিজেকে সুরক্ষিত করার পাশাপাশি অন্যকেও সুরক্ষিত করতে হবে। সেই দায়িত্ব সকলকে পালন করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘যদিও খেটে খাওয়া দিন-মজুর শ্রেনীর এবং ছোট ব্যবসায়ীদের কষ্ট হচ্ছে,তাঁদের জন্য সময়টা খুব দু:সময়, সেটা আমি বুঝতে পারি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা আমাদেরকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন এবং তাঁর দেখানো পথ অনুসরণ করেই আমরা আমাদের লক্ষ্য, জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার পথে আমর অনেক দূর এগিয়েও গিয়েছিলাম। যার সুফলও মানুষ পেতে শুরু করেছিল।
এই করোনাভাইরাস আসার পরই অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতিধারা কিছুটা শ্লথ হয়ে গিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটা শুধু বাংলাদেশ নয়, সমগ্র বিশ্বব্যাপীই এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সমগ্র বিশ্বই বলতে গেলে স্থবির হয়ে পড়েছে।’
চলবে-বাসস/এএসজি-এফএন/এএইচজে/১৫৪০/-আসাচৌ