বঙ্গবন্ধুর খুনি মাজেদের সঙ্গে কারাগারে স্বজনদের সাক্ষাৎ

546

ঢাকা, ১০ এপ্রিল, ২০২০ (বাসস) : বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি আব্দুল মাজেদের সঙ্গে কারাগারে তার স্ত্রীসহ পাঁচ স্বজন দেখা করেছেন। বিষয়টি সাংবাদিকদের আজ রাতে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের (কেরানীগঞ্জ) সিনিয়র জেল সুপার ইকবাল কবীর চৌধুরী।
এছাড়াও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি শাহ জামান মাজেদের পরিবারের সদস্যরা কারাগারে এসে তার সঙ্গে দেখা করে গেছেন বলে বাসস’কে নিশ্চিত করেন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলার আত্মস্বীকৃত খুনি মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন (বরখাস্তকৃত) মাজেদের প্রাণভিক্ষার আবেদন এর আগে নাকচ কওে দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। বুধবার বিকেলে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার এ আবেদন করেন মাজেদ। কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে মাজেদের প্রাণভিক্ষার আবেদন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় হয়ে বঙ্গভবনে পৌঁছায়।
গত মঙ্গলবার আদালত কর্তৃক মৃত্যু পরোয়ানা কারাগারে পৌঁছানোর পর তা মাজেদকে পড়ে শুনানো হয়। এর পর পরই রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চেয়ে আবেদন করেন মাজেদ।
অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল আবরার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, দোষ স্বীকার করে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চান মাজেদ।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ধানমন্ডির ৩২ নম্বর রোডের বাড়িতে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যাকান্ডে সরাসরি অংশ নিয়েছিলেন এই মাজেদ। তখন তিনি ছিলেন সেনাবাহিনীর একজন ক্যাপ্টেন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার দায়ে ফাঁসির রায় মাথায় নিয়ে পারিয়ে থাকা অন্যতম আসামি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) মাজেদকে গত সোমবার দিবাগত রাতে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরদিন তাকে সিএমএম আদালতে হাজির করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। মঙ্গলবার এ মামলার বিচারিক আদালতে তাকে আনা হয়। রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে তার মূত্যু পরোয়ানা জারি করে আদেশ দেন আদালত।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ১৯৭৫ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট খন্দকার মোশতাক আহমেদ বিচারের হাত থেকে খুনিদের রক্ষা করতে ইনডেমনিটি অরডিন্যান্স জারি করেন। পরবর্তীতে জিয়াউর রহমান ১৯৭৯ সালে ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্সকে আইন হিসেবে অনুমোদন করেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মম বর্বরোচিত ও নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। তখন বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা (বর্তমান প্রধানমন্ত্রী) ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান।