বাসস দেশ-১৮ : বঙ্গবন্ধুর পলাতক সকল খুনিকে মুজিববর্ষেই দেশে ফেরত আনা হবে : আশাবাদ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

241

বাসস দেশ-১৮
বঙ্গবন্ধু-খুনি-মোমেন
বঙ্গবন্ধুর পলাতক সকল খুনিকে মুজিববর্ষেই দেশে ফেরত আনা হবে : আশাবাদ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
ঢাকা, ৭ এপ্রিল, ২০২০ (বাসস) : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন আজ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাকি পাঁচ খুনিকে মুজিববর্ষে দেশে ফেরত আনার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন।
তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় সংবাদকর্মীদের পাঠানো এক বার্তায় বলেন ‘আমি আশা করি, মুজিব বর্ষের মধ্যেই (বঙ্গবন্ধুর) খুনিদের এখানে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।’
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অন্যতম খুনি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) ও ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামী আব্দুল মাজেদ গ্রেফতার হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে চলমান সংকটের মধ্যেও আমরা খুশির একটা খবর পেলাম। বঙ্গবন্ধুর খুনি আব্দুল মাজেদ গ্রেফতার হয়েছে।
ড. মোমেন বলেন, আমরা আশা করেছিলাম, মুজিববর্ষে বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের অন্তত একজনকে দেশে ফিরিয়ে এনে আইনের সম্মুখীন করা হবে। আল্লাহর প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা, তা সম্ভব হলো।
মন্ত্রী বলেন, তবে এখনও পাঁচজন খুনি পলাতক রয়েছে। তাদের একজন যুক্তরাষ্ট্রে, আরেকজন কানাডায়।
আমাদের প্রত্যাশা, মুজিববর্ষেই বাকি খুনিদেরও দেশে ফিরিয়ে এনে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে। এ জন্য সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি দেশের ও প্রবাসী জনগণের সহযোগিতা প্রয়োজন। আমাদের আশাবাদ আগামী ২০২১ সালের ১৭ মার্চের মধ্যে মুজিববর্ষেই তা সম্ভব হবে।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যকে হত্যার দায়ে ১২জন সাবেক সেনা কর্মকর্তা মৃত্যুদ-ে দ-িত হয়েছিল এবং তাদের মধ্যে পাঁচজনকে ফাঁসি কার্যকর এবং একজনের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়।
পাঁচজনকে দীর্ঘদিনের আইনী প্রক্রিয়ার পরে গত ২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসি দেওয়া হয়। তাদের মধ্যে ছিল- বরখাস্ত হওয়া লেফটেন্যান্ট কর্নেল সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, একেএম মহিউদ্দিন আহমেদ এবং মহিউদ্দিন আহমেদ এবং মেজর বজলুল হুদা। অপর আসামি বরখাস্ত কর্নেল রাশেদ পাশা পলাতক অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে। কুখ্যাত ইনডিমিনিটি আইন ১৯৯৬ সালে বাতিল করার আগে পর্যন্ত ওই কালো আইন খুনীদের বিচার থেকে রক্ষা করে।
বাসস/এএসজি/টিএ /অনুবাদ-কেজিএ/১৯৫৪/আরজি