করোনা মোকাবেলায় সরকারের পাশাপাশি এনজিও এবং সুশীল সমাজের সম্পৃক্ততা জরুরী : এলজিআরডি মন্ত্রী

301

ঢাকা, ৬ এপ্রিল, ২০২০ (বাসস) : স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, দেশে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারের পাশাপাশি এনজিও এবং সুশীল সমাজের সম্পৃক্ততা জরুরী।
তিনি বলেন, ‘রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত বিভিন্ন বস্তিতে এনজিও সমূহ নানারকম সেবামূলক কাজে সম্পৃক্ত রয়েছে। আমি মনে করি করোনা ভাইরাস জনিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য সরকারের পাশাপাশি এনজিও এবং সুশীল সমাজের সম্পৃক্ততা জরুরী ।’
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী আজ সোমবার রাজধানীর কাওরান বাজারে ঢাকা ওয়াসা ভবনে ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে এনজিওগুলোকে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে আয়োজিত এক সমন্বয় সভায় একথা বলেন।
সভায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র মো: আতিকুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এনজিও বিষয়ক ব্যুরো মহাপরিচালক কে এম আব্দুস সালাম, ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় অনেক প্রতিষ্ঠান করোনা সংকট মোকাবেলায় কাজ করে যাচ্ছে কিন্তু প্রতিষ্ঠানিক কোন ব্যবস্থাপনা নেই। এখানে বসবাসরত নিম্ন আয়ের মানুষের কঠিন সমস্যা মোকাবিলার জন্য একটি সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, জাতীয় এই সংকট মোকাবিলা করার জন্য জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে আপদকালীন একটি রূপরেখা এবং সেটআপ আছে। এখন ঢাকার মেট্রোপলিটন এলাকার জন্য একটি অ্যাকশন প্ল্যান প্রণয়ন করা জরুরি।
সভায় ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ড কাউন্সিলরের তত্ত্বাবধানে দশটি করে সাব-কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। প্রতিটি কমিটিতে অন্তত একজন এনজিও প্রতিনিধি থাকবে।
কমিটিগুলোর কার্যক্রম যথাযথভাবে সম্পন্ন হচ্ছে কিনা তা প্রয়োজনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মন্ত্রীকে অবহিত করা হবে।
এছাড়াও সভায় আরো সিদ্ধান্ত হয় যে, দরিদ্র ও ছিন্নমূল জনগোষ্ঠীকে চাল, ডাল সহ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী যেমন প্রদান করা হবে, তেমনি প্রয়োজনে নগদ অর্থও প্রদান করা যাবে।