করোনাভাইরাস : বিশ্বের সর্বশেষ পরিস্থিতি

394

প্যারিস, ৩০ মার্চ, ২০২০ (বাসস ডেস্ক) : বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস সংকটের সর্বশেষ পরিস্থিতি: বিশ্বব্যাপি অস্ত্রবিরতির আহ্বান পোপের:
জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের সাথে যোগ দিয়ে পোপ ফ্রান্সিস ‘বিশ্বব্যাপি দ্রুত অস্ত্রবিরতি’ পালনের আহ্বান জানিয়েছেন । খবর এএফপি’র।
স্পেনে ভাইরাস পরিস্থিতির অবনতি:
স্পেন করোনাভাইরাস মোকাবেলায় অ-জরুরি সব ধরণের কর্মকান্ড বন্ধ রাখতে এবং কর্মীদের দুই সপ্তাহ ধরে ঘরে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। করোনাভাইরাসে মৃত্যুর দিক থেকে বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষতিগ্রস্থ দেশ স্পেন। প্রতিদিনের হালনাগাদ রেকর্ড অনুযায়ী, দেশটিতে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ৮৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
রোববার স্পেনে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৭৮ হাজার ৭৯৭ জনে দাঁড়িয়েছে। একদিনের ব্যবধানে এ সংখ্যা ৯.১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে দেশটিতে এ মহামারী ভাইরাসে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৫২৮ জনে।
নিউইয়র্ক লকডাউন বিষয়ে ট্রাম্পের উল্টো সুর:
নিউইয়র্ক মেট্রোপলিটন এলাকায় লোকজনকে কোয়ারেন্টাইনে থাকার কথা বলা হলেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্যাপক পরিসরে লকডাউন আরোপের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।
করোনায় মাত্র তিন দিনে দিগুণেরও বেশি বেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ৩৫১ জনে দাঁড়ানোর দিনই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উল্টোসুরে কথা বললেন। দেশটিতে মোট মৃত্যুর এক-চতুর্থাংশেরও বেশি নিউইয়র্ক নগরীর বাসিন্দা।
উল্লেখ্য, সারা বিশ্বের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি লোক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।
স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ ১৪ দিনের জন্য দেশের অভ্যন্তরে অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ থেকে বিরত থাকতে নিউইয়র্ক, নিউজার্সি এবং কানেক্টিকাট রাজ্যের বাসিন্দাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
খাদ্য আতঙ্ক:
ইতালির সিসিলি দ্বীপে লুটের খবরের পর সুপার মার্কেট রক্ষায় পুলিশকে লাঠিচার্জ ও গুলি ছুঁড়তে হয়েছে। ইতালির প্রধানমন্ত্রী গুইসেপে কন্তে প্রতিশ্রƒতি দিয়ে বলেছেন, ব্যয়ভার বহন করতে না পারা লোকজনের কাছে সরকার ফুড ভাউচার পাঠিয়ে দেবে।
ইতালি জরুরি খাদ্য ত্রান কর্মসূচীর জন্য ৪৪ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন তহবিল গঠনের পরিকল্পনা করছে।
করোনায় মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩৩ হাজার:
বার্তা সংস্থা এএ্ফপি জানায়, চীনে গত ডিসেম্বরে মহামারী করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে বিশ্বে কমপক্ষে ৩৩ হাজার ২৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসবের মধ্যে কেবলমাত্র ইতালিতেই করোনাভাইরাসে ১০ হাজার ৭৭৯ জনের মৃত্যু হয়। এসংখ্যা বিশ্বের মোট মৃত্যুর এক-তৃতীয়াংশ।
করোনাভাইরাসে মৃত্যুর দিক থেকে এর পরের অবস্থানে রয়েছে স্পেন। দেশটিতে এ ভাইরাসে ৬ হাজার ৫২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনাভাইরাসে চীনে ৩ হাজার ৩০০, ইরানে ২ হাজার ৬৪০ এবং ফ্রান্সে ২ হাজার ৬০৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার জিম্বাবুয়ে করোনা ছড়িয়ে পড়া রোধে ২১ দিনের লকডাউন শুরু করেছে।
এদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রেডিওতে দেয়া সাপ্তাহিক ভাষণে দেশব্যাপি ২১ দিনের লকডাউনের জন্য নাগরিকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। কেননা এতে অনেক অভিবাসী শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন পরিস্থিতি আরো খারাপ হওয়ার বিষয়ে সতর্ক করেছেন। লকডাউন উল্লেখযোগ্য সময় পর্যন্ত থাকতে পারে বলেও সরকার থেকে বলা হয়েছে। দেশটিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে এবং মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১,২২৮ জনে।