মুন্সীগঞ্জ, ২৯ মার্চ, ২০২০ (বাসস) : মুন্সীগঞ্জ জেলার ছয়টি উপজেলায় ৬৮১ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন। তাদেরকে বাড়িতে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অবস্থান করার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৩ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে গেছেন এবং ছাড়পত্র পেয়েছেন ৭৫ জন। এই নিয়ে গেল কয়েকদিনে ৩৫৭ জন হোম কোয়ারেন্টাইন সম্পন্ন করেছেন। এদিকে, মুন্সীগঞ্জে সেনাবাহিনীসহ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা বাজার মনিটরিংয়ে বেরিয়েছেন।
জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার জানিয়েছেন, গত ১ মার্চ থেকে এপর্যন্ত মুন্সীগঞ্জে বিদেশ থেকে ফিরেছেন ৫ হাজার ৪৭৩ জন। এদের মধ্যে এপর্যন্ত চিহ্নিত করা গেছে ৬৮১ জনকে।
প্রস্তুতি হিসাবে জেলায় সরকারি ৭টি হাসপাতাল এবং বেসরকারি ৩০টি সহ ৩৭টি হাসপাতাল প্রস্তুত রয়েছে। সরকারি মানবিক সহায়তা কর্মসূচীর আওতায় জেলায় বরাদ্দকৃত মোট ৭ লাখ টাকা এবং ১শ’ টন চাল ছয়টি উপজেলায় প্রান্তিক পর্যায়ের ৯৫০ পরিবারের মধ্যে সরকারি এই ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের উপস্থিতিতে সেনা বাহিনী ও পুলিশ বাজার মনিটরিংসহ বিভিন্ন সড়কে টহল দিচ্ছে। লোকজনকে ঘরে থাকার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। প্রয়োজন ছাড়া যারা ঘরের বাইরে তাদের ব্যাপারে কঠোর মনোভাব দেখাচ্ছে প্রশাসন।
মুন্সীগঞ্জ সদর, টঙ্গীবাড়ি, লৌহজং, শ্রীনগর, সিরাজদিখান ও গজারিয়া উপজেলায় ইউএনও এবং এসি (ল্যান্ড)সহ প্রশাসন মাঠে নেমেছে। তারা জরুরি প্রয়োজনে যারা বের হচ্ছে, তাদের নিরাপদ দূরত্বে থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।
রবিবারও মুন্সীগঞ্জ শহর ছিল একরকম ফাঁকা। রাস্তায় লোকজন কম দেখা গেছে। নিত্য প্রয়োজনীয় মুদি দোকান, কাঁচাবাজার, ফার্মেসী ও স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান খোলা ছিল। তবে সকল প্রকার দোকান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, গণপরিবহন ও নৌপরিবহন বন্ধ রয়েছে।