বাসস প্রধানমন্ত্রী-৩ (প্রথম কিস্তি)
শেখ হাসিনা-পারমাণবিক প্রকল্প
সম্পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী
রূপপুর, পাবনা, ১৪ জুলাই, ২০১৮ (বাসস) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বলেছেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র সম্পূর্ণ নিরাপত্তা পদ্ধতি অবলম্বন করে এমনভাবে নির্মাণ করা হচ্ছে যাতে এখানে প্রাকৃতিক বা মনুষ্য সৃষ্ট কোন দুর্ঘটনা ঘটতে না পারে।
জনগণের জন্যে কোন ঝুঁকি যাতে সৃষ্টি না হয়, সে বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা অলম্বন করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাশিয়া এই প্লান্টের বর্জ্য নিতে রাজী হয়েছে এবং এ বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তিও স্বাক্ষর হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা নিরাপত্তার দিকটায় বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়েছি। যে কোন দুর্যোগে আমাদের এই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে দিকটি বিবেচনায় নিয়েই এই প্ল্যান্টের ডিজাইন করা হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ এখানে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ‘রিঅ্যাক্টর বিল্ডিং (উৎপাদন কেন্দ্র)’ নির্মাণ কাজের দ্বিতীয় পর্যায়ের ঢালাইয়ের কাজ উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটি নির্মাণে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার গাইডলাইন এবং আন্তর্জাতিক মান অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হচ্ছে। রাশিয়ার সর্বশেষ জেনারেশন থ্রি প্লাস প্রযুক্তির রিঅ্যাক্টর দিয়ে তৈরি হচ্ছে এই কেন্দ্র। পারমাণবিক নিরাপত্তা ও বিকিরণ নিয়ন্ত্রণের সর্বাধুনিক ব্যবস্থা আছে এ রিঅ্যাক্টরে।’
তিনি আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণের যাত্রায় এই পারমাণবিক কিদ্যুৎ কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় বিদ্যুৎকে একটি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের অন্যতম চাবিকাঠি উল্লেখ করে বলেন, পর্যাপ্ত এবং ধারাবাহিক বিদ্যুৎ সরবরাহ দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করারও পূর্বশর্ত।
সরকার দেশের প্রত্যেকটি মানুষের ঘরে ঘরে বিদ্যুতের আলো পৌঁছে দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা বাড়ানোর মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন- ২০২৩-২৪ সাল নাগাদ এ কেন্দ্রের দু’টি ইউনিট থেকে মোট ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে ।
রাশিয়ান ফেডারেশনের উপ-প্রধানমন্ত্রী ইউরি ইভানোভিচ বরিসভ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেজ ওসমান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
রোসাটম-এর প্রথম মহাপরিচালক ল্যাক্সিন আলেকজান্দার, আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি কমিশন (আইএই)-র পরিচালক দহি হ্যান অনুষ্ঠনে বক্তৃতা করেন।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আনোয়ার হোসেন একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে পুরো প্রকল্পটি তুলে ধরে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন।
মন্ত্রী পরিষদ সদস্যবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাবৃন্দ, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সদস্যবৃন্দ এবং এনার্জী রেগুলেটরী কতৃর্পক্ষের সদস্যবৃন্দ, ভারত থেকে আগত জ্যেষ্ঠ পরমাণু বিষয়ক কর্মকর্তাবৃন্দ, তিন বাহিনী প্রধানগণ এবং পদস্থ সামরিক এবং বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
চলবে-বাসস/এএসজি-এফএন/একেএইচ/১৫১০/আরজি