দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের দূরত্ব কমাবে কালনা সেতু

687

গোপালগঞ্জ, ২৪ মার্চ, ২০২০ (বাসস): ঢাকার নগরীর সাথে ১শ’ কিলোমিটার দূরত্ব কমে যাওয়ায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় মানুষ দেশের অন্যান্য স্থানের সাথে দ্রুত যোগাযোগ করতে পারবে। সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ও কালনা সেতুর প্রকল্প পরিচালক পিডি) সৈয়দ গিয়াস উদ্দিন বাসসকে বলেন, আগামী বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ৯৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে দেশের সর্বপ্রথম ছয় লেন বিশিষ্ট ৬৯০ মিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণ শেষ হবে। পিডি বলেন, জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সির (জাইকা)’র আর্থিক সহায়তায় ইতোমধ্যেই সেতুর ৩০ শতাংশ নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি মধুমতি নদীর উপর নির্মিতব্য এই কালনা সেতু’র ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। সেতুটি গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলা ও নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলাকে সংযোগ করছে। এতে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত প্রায় ১শ’ কিলোমিটার দূরত্ব কমে আসবে। প্রকল্প সূত্র জানিয়েছে, সেতুটি চালু হলে যশোর, নড়াইল, মাগুরা, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, সাতক্ষীরা ও খুলনা জেলার কিছু অংশসহ ওই অঞ্চলের মানুষ সরাসরি উপকৃত হবে। তার উপর পদ্মা সেতু চালু হলে ওই অঞ্চলের বাসিন্দারা অনেক বেশি উপকৃত হবে।
ওই অঞ্চলের মানুষ এখন পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ফেরিঘাট হয়ে ঢাকা-যশোর-বেনাপোল হাইওয়ে ব্যবহার করে। তারমানে ঢাকা থেকে যশোর পৌঁছতে ১শ’ কিলোমিটার অতিরিক্ত পথ পাড়ি দিতে হয়।
প্রকল্পের কর্মকর্তারা জানান, সেতুটি এশিয়ান হাইওয়ের একটি অংশ। এটি রাজধানীর সাথে দেশের বৃহত্তম পেনাপোল স্থলবন্দরসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলকে যুক্ত করবে। ২৭.১ মিটার চওড়া সেতুটির ছয়টি লেন হবে।
যশোর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, সেতুটি চালু হলে ও সড়কের পুনর্নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর পদ্মা সেতু চালু হলে ওই অঞ্চলের মানুষ অর্থনৈতিক সুবিধা পাবে।
তিনি আরো বলেন, এরফলে বেনাপোল স্থল বন্দর, মংলা সমুদ্র বন্দর ও নোয়াপাড়া নদী বন্দরের কার্যক্রম অনেক বেড়ে যাবে। এই অঞ্চলের বাসিন্দারা ঢাকায় কাজ শেষে এক দিনের মধ্যেই বাড়ি ফিরে আসতে পারবে।
পাশাপাশি ওই অঞ্চলের অনেক যাত্রী বাসসকে জানান, সেতুটি চালু হলে কালনা ফেরি ঘাটে তাদের দীর্ঘযাত্রার ভোগান্তিরও অবসান হবে।
প্রায় ৩শ কর্মী সেতুটিতে কাজ করছে। এলাকাবাসি সেতুটির দ্রুত নির্মাণের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছে।