করোনাভাইরাসে নতুন আক্রান্ত ৬ জন, আরও ১ জনের মৃত্যু

694

ঢাকা, ২৩ মার্চ, ২০২০ (বাসস) : করোনাভাইরাসে দেশে নতুন করে আরও ৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন। সব মিলিয়ে দেশে এখন করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩৩ জনে দাঁড়াল।
আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ১ জন মৃত্যুবরণ করেছেন, এনিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ৩ জনে। আক্রন্তদের মধ্যে ৫ জন সুস্থ হয়ে ইতোমধ্যে হাসপাতাল ছেড়েছেন।
রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) থেকে অনলাইন ব্রিফিংয়ে সংস্থার পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘আমরা গত ২৪ ঘন্টায় ৬৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করিয়েছি। সর্বমোট ৬২০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এই মুহুর্তে আইসোলেশনে আছেন করোনা নিশ্চিত এবং সন্দেহজনকভাবে যাদের মধ্যে মনে করা হচ্ছে যে, করোনার উপস্থিতি থাকতে পারে অথবা যাদের মধ্যে লক্ষণ উপসর্গ রয়েছে এমন ৫১ জন, প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন ৪৬ জন। নমুনা পরীক্ষায় করোনা আছে এমন সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা ৩৩ জন। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ৬ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত করেছি। এই ৬ জনের মধ্যে ১ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। অর্থাৎ মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৩ জন এবং ৫ জন সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন। এদের মধ্যে আগেই ৩ জন সুস্থ হয়েছিলেন, নতুন আরো ২ জন গতকাল বাড়ি গেছেন।’
ডা. ফ্লোরা বলেন, ‘নতুন যে ৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন, এদের ৩ জন পুরুষ ও ৩ জন নারী। তাদের বয়ন ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ১ জন, ৩০ থেকে ৪০ এর মধ্যে ২ জন, ৪০ থেকে ৫০ এর মধ্যে ১ জন, ষাটোর্ধ ২ জন, এরমধ্যে ১ জনের বয়স ৭০ বছরের উপরে। এদের ২ জন দেশের বাইরে থেকে এসেছেন, ভারত ও বাহরাইন থেকে। এদের ২ জনের মধ্যে অন্য দীর্ঘমেয়াদী রোগ ছিল।’
তিনি জানান, এই ৬ জনের মধ্যে ১ জন স্বাস্থকর্মী রয়েছেন। এ পর্যন্ত ১ জন চিকিৎসক ও ২ জন নার্সসহ মোট ৩ জন স্বাস্থ্যকর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
ফ্লোরা জানান, ৩৩ জন করোনা আক্রান্তের মধ্যে দুই তৃতীয়াংশ পুরুষ এবং এক তৃতীয়াংশ নারী। ১০ বছর বয়সের নিচে আছে ২ জন, ১০ থেকে ২০ বছর বয়সের মধ্যে ১ জন, ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সের মধ্যে ৯ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সের মধ্যে ৯ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সের মধ্যে ৫ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সের মধ্যে ১ জন এবং ৬০ বছরের উর্ধ্বে ৬ জন।
জেলাভিত্তিক আক্রান্তদের বিশ্লেষণে তিনি জানান, করোনা আক্রান্ত ৩৩ জনের মধ্যে ঢাকায় ১৫ জন, মাদারীপুরে ১০ জন, নারায়নগঞ্জে ৩ জন, গাইবান্ধায় ২ জন, কুমিল্লায় ১ জন, গাজীপুরে ১ জন এবং চুয়াডাঙ্গায় ১ জন।
তিনি বলেন, সংক্রমণ পাওয়া গেছে এমন ৩৩ জনের মধ্যে ১৩ জন অন্য দেশ ভ্রমণ করে এসেছেন, বাকী ২০ জনই এদের মাধ্যমে কোন না কোনভাবে সংক্রমিত হয়েছেন। ১৩ জনের মধ্যে ইতালি থেকে ৬ জন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২ জন, ইউরোপের অন্যান্য দেশ থেকে ২ জন, বাহরাইন থেকে ১ জন, ভারত থেকে ১ জন এবং কুয়েত থেকে ১ জন। অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদী রোগ রয়েছে ১১ জনের মধ্যে। এদের মধ্যে বেশিরভাগের অবস্থা এখন পর্যন্ত স্থিতিশীল। কিডনি সমস্যা রয়েছে যে রোগীর তার এখনো ডায়ালাসিসের প্রয়োজন হচ্ছে। বাকীদের অবস্থা স্থিতিশীল।