দুর্যোগ মোকাবেলায় সরকারকে সহযোগিতা করতে ১৪ দলের আহবান

318

ঢাকা, ২২ মার্চ, ২০২০ (বাসস) : দুর্যোগ মোকাবেলায় ধর্ম, দল-মত নির্বিশেষে এগিয়ে এসে সরকারকে সহযোগিতা করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ১৪ দল।
১৪ দলের পক্ষ থেকে এক যৌথ বিবৃতিতে আজ এ আহবান জানিয়ে বলা হয়, “‘বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাস আমাদের দেশেও আঘাত করেছে। অতীতে যেকোন দুর্যোগ মোকাবেলায় বাঙালিরা সাহসের সাথে সফল হয়েছে। এবারও একজন সাহসি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা এই দুর্যোগ কাঠিয়ে উঠতে সক্ষম হবো ইনশাল্লাহ। সংকটকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ১৪ দল ছিল এবং থাকবে।”
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন আওয়ামী লীগ সভাপতিমন্ডলীর সদস্য, কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক মোহাম্মদ নাসিম এমপি, ওয়ার্কার্স পাটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাতীয় পার্টির (জেপি) সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন, গণআজাদী লীগের সভাপতি এসকে শিকদার, ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন প্রমুখ।
যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, দেশের প্রশাসন, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছে করোনা ভাইরাস থেকে জনগণকে রক্ষা করতে। তাদের এই আন্তরিকতাকে আমরা সাধুবাদ জানাই। তবে আমাদের সম্পদ সীমিত, প্রশিক্ষিত লোকবলের অভাব ও কার্যক্ষেত্রে বাস্তবায়নও নানা কারণে বিলম্বিত হয়।
যেহেতু এখন জরুরি পরিস্থিতি বিরাজ করছে তাই আতঙ্ক সৃষ্টিকারী এই রোগ প্রতিরোধে ১৪ দল মনে করে অবিলম্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুর্যোগ প্রতিরোধে গঠিত ব্যবস্থাপনা কাউন্সিল পুনর্গঠিত করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের সমন্বয় করে কাজ শুরু করা দরকার। কাজের সমন্বয় সাধনের জন্য এটা প্রয়োজন।
বিবৃতিতে বলা হয় বিশেষজ্ঞদের তথ্যানুযায়ী আগামী কয়েক সপ্তাহ দেশের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এই রোগটি অন্য আক্রান্ত দেশের মতো আমাদের দেশেও ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে। সেটিকে মাথায় রেখে অবিলম্বে বিদেশফেরত সকলকে যেকোন মূল্যে সকল আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কাজে লাগিয়ে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
এক্ষেত্রে কোন প্রকার ছাড় দেওয়া যাবে না উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, কেউ হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে অনিচ্ছুক হলে তাকে সাথে সাথে গ্রেফতার করতে হবে। একই সঙ্গে করোনা আক্রান্ত রোগীদের সেবা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষিত মেডিক্যাল টিম কাজে লাগাতে হবে।
জরুরি ভিত্তিতে চীন বা অন্য দেশ থেকে পিপিইসহ সকল সুরক্ষা সামগ্রী এনে দেশের সকল চিকিৎসক-নার্সসহ স্বাস্থ্য সেবা কর্মীকে দেওয়ার ব্যবস্থা করার উপর গুরুত্বারোপ করে একজন স্বাস্থ্যকর্মী যেন এর থেকে বাদ না পড়ে এবং তাদের সবাইকে স্বাস্থ্য সেবা দেওয়ার ব্যাপারে উৎসাহিত করতে হবে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ঢাকায় একাধিক এবং সকল বিভাগীয় ও জেলা শহরে অন্তত একটি করে করোনা শনাক্তকরণ সেন্টার বা ল্যাবরেটরি স্থাপনের দ্রুত ব্যবস্থা করতে হবে। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, এখন দিনের হিসেবে নয়, ঘণ্টা হিসেবে সব কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে হবে।