বাসস দেশ-২৫ : করোনার ঝুঁকি মোকাবেলায় লক্ষ্যনির্দিষ্ট এবং সম্প্রসারণধর্মী পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ

116

বাসস দেশ-২৫
করোনার ঝুঁকি মোকাবেলায়
করোনার ঝুঁকি মোকাবেলায় লক্ষ্যনির্দিষ্ট এবং সম্প্রসারণধর্মী পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ
ঢাকা, ২১ মার্চ, ২০২০ (বাসস): করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) কারণে সৃষ্ট সাম্প্রতিক বৈশ্বিক মহামারি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জন্য একটি উদ্বেগজনক স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক ঝুঁকি তৈরি করেছে। বাংলাদেশও এখন এই ঝুঁকির সম্মুখীন হয়েছে। স্বাস্থ্যখাত,বাণিজ্য,সরবরাহ ব্যবস্থাপনা,সরকারি ব্যয় ও মুদ্রানীতি এ সকল খাত যেসব বিভিন্নমুখী ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে তার মোকাবেলায় সরকারকে লক্ষ্যনির্দিষ্ট সম্প্রসারণধর্মী পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করেছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)।
শনিবার ঢাকায় সংস্থাটি তার নিজস্ব কার্যালয়ে আয়োজিত ‘করোনা ভাইরাসের স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক ঝুঁকি এবং করণীয়’ বিষয়ক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব পরামর্শ তুলে ধরে।
সংবাদ সম্মেলনে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।
প্রতিবেদনে সংস্থাটি সরকারকে করোনা ভাইরাসের প্রার্দুভাব মোকাবেলায় সম্প্রসারণমূখী মুদ্রানীতি, অগ্রাধিকার পুনর্বিবেচনা স্বাপেক্ষে রাজস্ব ও সরকারি ব্যয় এবং খাতভিত্তিক বরাদ্দের সিদ্ধান্ত গ্রহণের পরামর্শ দেন।
সিপিডি বলছে, কোভিড-১৯ এর ফলে যে সকল খাত ক্ষতিগ্রস্ত হবে সেগুলোর জন্য সুনির্দিষ্টবাজেট বরাদ্দ করতে হবে।একই সাথে চিকিৎসার জন্য বর্তমানে প্রয়োজনীয় ওষুধ,স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা ও চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে, মেডিকাল যন্ত্রপাতি প্রয়োজনমাফিক দেশের বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। সংস্থাটির মতে, কোভিড-১৯-এর কারণে নগদ প্রণোদনার বাড়তি চাহিদা বাজেটের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে। এক্ষেত্রে, ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট বরাদ্দের অগ্রাধিকারসমূহ পুনর্বিন্যাস করে কোভিড-১৯-এর ঝুঁকি সামাল দেয়া যেতে পারে। নিম্ন আয়ের মানুষ এই বৈশ্বিক মহামারিতে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সরকারকে তাদের জন্য বিশেষ প্রণোদনার ব্যবস্থা নিতে হবে।
ড. ফাহমিদা খাতুন প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৫ শতাংশের মতো প্রতিষ্ঠানের পরিবহন সেবা রয়েছে এবং ২২ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের অ্যালকোহলভিত্তিক জীবাণুনাশক ব্যবস্থা রয়েছে। কোভিড-১৯-এর মতো জাতীয় সংকট মোকাবেলা করার ক্ষেত্রে এ সকল প্রয়োজনীয় সেবাসমূহের ক্ষেত্রে অর্থসংকুলান ও যন্ত্রপাতির ব্যাপক অপর্যাপ্ততা রয়েছে।
তিনি বলেন, রাজস্ব ঘাটতির বর্তমান প্রবণতা যদি অব্যাহত থাকে এবং এর সাথে কোভিড-১৯ প্রার্দুভাবের কারণে অতিরিক্ত অর্থের যোগ করলে বড় আকারের হওয়ার আশংকা রয়েছে। করোনাভাইরাসের ফলে তৈরি পোশাক খাত, চামড়া শিল্প ও পর্যটন খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়া শুরু করেছে। এসকল খাতের উদ্ভুত ঝুঁকি মোকাবেলার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রণোদনা প্যাকেজ বিবেচনা করা উচিত বলে মনে করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাাফিজুর রহমান, গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, সিনিয়র রিসার্চ ফেলো প. তৌফিকুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন করেন ও তাদের মতামত তুলে ধরেন।
বাসস/এএসজি/আরআই/১৮২২/কেজিএ