ঢাকা-১০ আসনসহ তিন এলাকায় উপনির্বাচন কাল

432

ঢাকা, ২০ মার্চ, ২০২০ (বাসস) : জাতীয় সংসদের শূন্য ঘোষিত ঢাকা-১০, গাইবান্ধা-৩ ও বাগেরহাট-৪ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন আগামীকাল অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৯টা থেকে বিরতিহীনভাবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ করা হবে।
ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে। বাকি দুই সংসদীয় আসনে ব্যালটে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে ভোটগ্রহণের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে বাসসকে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর।
সচিব বলেন, “ঢাকা-১০ আসনসহ তিনটি সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে। তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমন ঠেকাতে প্রত্যেকটি ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তা দিতে সেখানে হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ অন্যান্য সুরক্ষার ব্যবস্থা থাকবে।”
ঢাকা-১০ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা জিএম সাহতাব উদ্দিন জানান, এখানে ৬ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরা হলেন-আওয়ামী লীগের মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, বিএনপির শেখ রবিউল আলম, জাতীয় পার্টির হাজী মো. শাহজাহান, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের নবাব খাজা আলী হাসান আসকারী, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মিজানুর রহমান চৌধুরী ও পিডিপির আবদুর রহিম।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ১৪, ১৫, ১৬, ১৭, ১৮, ও ২২ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ঢাকা-১০ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ১২ হাজার ২৮১ জন। এখানে ভোট কেন্দ্র ১১৭টি ও ভোটকক্ষ ৭৭৬টি। এই আসনে নির্বাচনে আইন-শৃংখলা রক্ষায় ২২ মার্চ পর্যন্ত ৬ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এবং ২৩ মার্চ পর্যন্ত ৩ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে পুলিশ, আনসারসহ পর্যাপ্ত আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে।
গাইবান্ধা-৩ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রাহমান জানান, এই আসনের উপনির্বাচনে ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরা হলেন-আওয়ামী লীগ সমর্থিত বাংলাদেশ কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম, বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী জেলা বিএনপির সভাপতি মইনুল হাসান সাদিক, জাতীয় পার্টি সমর্থিত প্রার্থী একই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত টিআইএম ফজলে রাব্বী চৌধুরীর ছেলে মইনুল রাব্বী চৌধুরী ও জাসদ সমর্থিত প্রার্থী এস এম খাদেমুল ইসলাম।
সাদুল্যাপুর ও পলাশবাড়ী উপজেলা নিয়ে গঠিত এই আসনের ভোটার হছঔতভ ৪ লাখ ৮ হাজার ৭৪ জন। এখানে ভোট কেন্দ্র ১৩২টি ও ভোটকক্ষ ৭৮৬টি। এই আসনে নির্বাচনে আইন-শৃংখলা রক্ষায় ২২ মার্চ পর্যন্ত ২০ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এবং ২৩ মার্চ পর্যন্ত ২ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে পুলিশ, আনসারসহ পর্যাপ্ত আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে।
বাগেরহাট-৪ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলী জানান, এই আসনে দুই জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরা হলেন-আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মো. আমিরুল আলম মিলন ও জাতীয় পার্টি সমর্থিত প্রার্থী সাজন কুমার মিস্ত্রী।
তিনি জানান, মোড়েলগঞ্জ ও শরণখোলা উপজেলা নিয়ে গঠিত এই আসনের ভোটার ২ লাখ ৯৭ হাজার ৪৩৪ জন। এখানে ভোট কেন্দ্র ১৪৩টি ও ভোটকক্ষ ৬২৯টি। এই আসনে নির্বাচনে আইন-শৃংখলা রক্ষায় ২২ মার্চ পর্যন্ত ২৩ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এবং ২৩ মার্চ পর্যন্ত ২ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে পুলিশ, আনসারসহ পর্যাপ্ত আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে।
২৯ ডিসেম্বর ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অংশ নিতে তাপস পদত্যাগ করায় তার আসন শূন্য হয়।
গত ২৭ ডিসেম্বর গাইবান্ধা-৩ আসনের সংসদ সদস্য ডা. ইউনুস আলী সরকার মৃত্যুবরণ করায় এই আসনটি শূন্য হয়।
১০ জানুয়ারি বাগেরহাট-৪ আসনের সংসদ সদস্য ডা. মোজাম্মেল হোসেন মৃত্যুবরণ করায় এই আসনটি শূন্য হয়। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পাঁচবার সংসদ সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হয়েছিলেন।