বাসস দেশ-৬ : নওগাঁ ও নড়াইলে ২৪৩ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে ২২ ভারতীয় নজরদারিতে

127

বাসস দেশ-৬
হোম-কোয়ারেন্টাইন
নওগাঁ ও নড়াইলে ২৪৩ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে ২২ ভারতীয় নজরদারিতে
নওগাঁ, ২০ মার্চ, ২০২০ (বাসস) : জেলায় বিদেশ থেকে আসা ১৩৪ জন বাংলাদেশী নাগরিককে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিদেশ থেকে আসা ১৬১ জনের মধ্যে হোম কোয়ারেন্টাইনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় ২৭ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।
জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মোছাঃ সুরাইয়া খাতুন জানান, নওগাঁ সদর উপজেলায় হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন ১৫ জন, রানীনগর উপজেলায় আছেন ২ জন, আত্রাই উপজেলায় ২৬ জনের মধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ১১ জন, মহাদেবপুর উপজেলায় ২৪ জনের মধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৫ জন, মান্দা উপজেলায় হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৯ জন, বদলগাছি উপজেলায় ১৭ জনের মধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৩ জন, পতœীতলা উপজেলায় হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৬ জন, ধামইরহাট উপজেলায় ১১ জনের মধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ১ জন, নিয়ামতপুর উপজেলায় ১৬ জনের মধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ১ জন এবং সাপাহার উপজেলায় ৩৫ জনের মধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৬ জন।
এ ছাড়া ভারত থেকে ২২ জন ভারতীয় নাগরিক চলতি মাসে নওগাঁয় প্রবেশ করেছেন। তারা জেলার পুলিশ প্রশাসন, জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের বিশেষ নজরদারীতে রয়েছেন বলে জানানো হয়েছে।
নওগাঁ সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. মো. মোমিনুল হক জানিয়েছেন, জেলা সদর হাসপাতালের বিশেষ আইসোলেশন ইউনিটে করোনা ভাইরাস সন্দেহে কোন রোগি ভর্তি নেই। কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড়পত্র পাওয়া ২৭ জনের সবাই করোনাভাইরাসমুক্ত রয়েছেন এবং তারা সুস্থ্য রয়েছেন।
বাসস’র নড়াইল সংবাদদাতা জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে নড়াইলে ১০৯ জন হোম কোয়ারেন্টাইন রয়েছেন।
আজ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে করোনা প্রতিরোধে সচেতনতামূলক আলোচনা সভায় এ তথ্য জানান জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজা।
এসময় আরো বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট সোহরাব হোসেন বিশ^াস, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, সিভিল সার্জন ডা. মো. আব্দুল মোমেন, সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আব্দুস শাকুর, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মশিউর রহমান বাবু ও নড়াইল প্রেসক্লাবের সভাপতি এনামুল কবীর টুকু।
নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজা বলেন, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সচেতনার কোন বিকল্প নেই। একমাত্র প্রতিরোধই নিজে এবং পরিবারকে বাঁচাতে পারে।
বিদেশ থেকে কেউ দেশে আসলে আপনাদের জানা মতে এমন কেউ থাকলে তাকে হোম কোয়ারেন্টাইন এ থাকতে হবে। কেউ এ নিয়ম না মানলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
বাসস/সংবাদদাতা/এমএসএইচ/১৩৪৮/-এমএবি