বাসস দেশ-৩৬ : করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কক্সবাজার ও সেন্টমার্টিনের মধ্যে আগামীকাল থেকে জাহাজ চলাচল বন্ধ

202

বাসস দেশ-৩৬
সেন্টমার্টিন-জাহাজ চলাচল
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কক্সবাজার ও সেন্টমার্টিনের মধ্যে আগামীকাল থেকে জাহাজ চলাচল বন্ধ
কক্সবাজার, ১৯ মার্চ, ২০২০ (বাসস) : করোনাভাইরাস প্রতিরোধে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনগামী পর্যটকবাহী সব-জাহাজ চলাচল আগামীকাল শুক্রবার থেকে বন্ধ থাকবে। কক্সবাজারের জেলা প্রশাসন আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে এ নির্দেশ দিয়েছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আশরাফুল আফসার বলেন, করোনা প্রার্দুভাব এড়াতে শুক্রবার সকাল থেকে কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে পর্যটকবাহী সব ধরনের জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে দ্বীপে যেসব পর্যটক রয়েছেন তাদেরকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার মধ্যে ফেরত আনা হবে।
তিনি বলেন,‘যতদিন করোনার প্রভাব থাকবে, ততদিন এ রুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকবে’। পর্যটন স্পটগুলোতেও পর্যটকদের না আসতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে বলেও আশরাফুল আফসার উল্লেখ করেন।
পর্যটকবাহী জাহাজ কেয়ারি সিন্দাবাদের টেকনাফের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শাহ আলম জাহাজ চলাচল বন্ধের নির্দেশনা পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, দ্বীপে ভ্রমণে যাওয়া পর্যটকদের ফেরত আনতে বৃহস্পতিবার সকালে তাদের জাহাজ দ্বীপে রওনা দিয়েছে। কারণ শুক্রবার থেকে ওই রুটে জাহাজ চলাচল করবে না।
টেকনাফের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দেয়া হবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ নৌরুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকবে।
করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি এড়াতে কক্সবাজারের সকল পর্যটন কেন্দ্র পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষনা করেছে জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার বিকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নোটিশ দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন।
এদিকে, বুধবার বিকালে করোনা ভাইরাস থেকে আত্মরক্ষায় জনসমাগমে বিধিনিষেধ আরোপের ঘোষণার পর থেকেই জনশূন্য হয়ে যায় কক্সবাজার সমুদ্রপাড়সহ আশপাশের এলাকা। প্রশাসনের ঘোষণার পর থেকে কক্সবাজারে পর্যটক আগমন ঠেকাতে মোড়ে মোড়ে অবস্থান নেয় পুলিশসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। যাত্রীবাহী বাস তল্লাসি করতে চকরিয়ায় বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। বিভিন্ন বাস কাউন্টার ও জনসমাগমের জায়গায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রচারপত্র বিলি করা হচ্ছে। যে সকল পর্যটক বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে অবস্থান করছে তারা নিরাপদে গন্তব্যে ফিরতে পারবে বলে জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে পর্যটকসহ সবরকম জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একই সাথে সমুদ্র-সৈকত এলাকায় ভ্রমণের বিষয়ে পর্যটকদের নিরুৎসাহিত করতে সৈকতের লাবণী পয়েন্টে বসানো হয়েছে চেকপোষ্ট। একইসাথে ভ্রমণ নিষিদ্ধে মাইকিং করা হচ্ছে এবং বীচ এলাকায় বাইকযোগে পুলিশি-টহল জোরদার করা হয়েছে। সৈকতে নামতে দেয়া হচ্ছে না কোন পর্যটককেও।
ট্যুরিস্ট পুলিশের সুপার জিললুর রহমান জানান, জেলা পুলিশ ও ট্যুরিস্ট পুলিশের সমন্বয়ে গঠিত বেশ কয়েকটি টিম কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবণী,সুগন্ধা,কলাতলী,মাদ্রাসা ও শৈবাল পয়েন্টের প্রবেশদ্বারে অবস্থান নিয়ে আগত পর্যটকদের সৈকতে নামতে নিরুৎসাহিত করছে।
তিনি বলেন,‘মরণঘাতি করোনাভাইরাসের বিস্তার বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ায় পর্যটন নগরী কক্সবাজারও এ ভাইরাসের ঝুঁকিতে রয়েছে। তাই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পর্যটকদের কক্সবাজার ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।’
বাসস/সংবাদদাতা/জেডআরএম/২০৪০/-আসাচৌ