করোনাভাইরাস মোকাবেলার কৌশলের সঙ্গে টেস্ট ক্রিকেটের তুলনা করলেন টেন্ডুলকার

306

নয়া দিল্লি, ১৯ মার্চ ২০২০ (বাসস/এএফপি) : প্রানঘাতি করোনাভাইরাস মোকাবেলার কৌশলের সঙ্গে টেস্ট ক্রিকেটের কৌশলের তুলনা করলেন ভারতের মাস্টার ব্লাস্টার ব্যাটসম্যান শচীন টেন্ডুলকার। প্রানঘাতি এ ভাইরাস মোকাবেলায় ধৈর্য্য ও দলগতভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে সতর্ক উচ্চারণ করে তিনি বলেন ‘ভালভাবে আমাদের রক্ষা করতে হবে।’
ধৈর্য্য-মনোযোগ ও পরিস্থিতিকে ভালোভাবে আয়ত্বে নিয়ে খেলতে পারলেই টেস্ট ক্রিকেটের সাফল্য মিলে। এমন অনেক উদাহরনও আছে টেস্ট ক্রিকেটে। সবচেয়ে বেশি টেস্ট ক্রিকেট খেলা টেন্ডুলকার এমন কৌশল বেশ ভালোই বুঝেন। নিজের ঝুলি ভর্তি অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতের তারকাদের সাথে বহুবার শেয়ারও করেছেন। কিন্তু এবার টেস্ট ক্রিকেটকে ভয়াবহ আতঙ্কের মধ্যে তুলে ধরলেন ২শটি টেস্ট খেলার মালিক টেন্ডুলকার।
ভারতের টাইমস অব ইন্ডিয়া পত্রিকার এক কলামে টেন্ডুলকার লিখেছেন, ‘বিশ্ব যখন এই মহামারীর সাথে লড়াই করছে, তখন আমাদের ক্রিকেটের সবচেয়ে পুরনো ফরম্যাট থেকে কিছু শেখার এখনই সময়।’
ওয়ানডে ও টেস্টে সবচেয়ে বেশি রানের মালিক টেন্ডুলকার বলেন, ‘এই ভাইরাসটি আমাদের সকলের বোধগম্যের বাইরে। কিন্তু পাঁচদিনের ক্রিকেট ফরম্যাটের কৌশল দিয়ে এটিকে ধ্বংস করা যেতে পারে।’
তিনি লিখেছেন, ‘আপনি জানেন না সমীহ করার জন্য টেস্ট ক্রিকেট আপনাকে সম্মানিত করে। ধৈর্য্য ধরার জন্য এটি আপনাকে মূল্যবান করে তোলে। আপনি যখন পিচ কিংবা বোলারকে বুঝতে পারবেন না তখন আক্রমনের চেয়ে রক্ষনাত্মক বড় উপায় হয়ে উঠে। নিজেদের ভালভাবে রক্ষা করতে হলে এখন আমাদের ধৈর্য্য ধারন করা প্রয়োজন। ’
সর্বশেষ খবর অনুযায়ী ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১৬৯জন। তবে মারা গেছে মাত্র তিনজন। কিন্তু পুরো বিশ্বে প্রায় ৯হাজার মানুষ মারা যাওয়ায় ভীত হয়ে পড়েছে ভারত।
অনেক দেশের মত, ভারতও ভ্রমনে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
২শ টেস্টে ১৫ হাজার ৯শ ২১ রান করে ২০১৩ সালে অবসর নেয়া ৪৬ বছর বয়সী টেন্ডুলকারের ভারতীয় সমাজে রয়েছে দারুন প্রখাক।
তিনি বলেন এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে বিশ্বের সব দেশকে একযোগে কাজ করতে হবে।
বিশ্ব ক্রিকেটে ১শটি সেঞ্চুরির মালিক টেন্ডুলকার বলেন, ‘ক্রিকেট রুপক ব্যবহার করলে দেখা যায় যদিও ব্যক্তিগত পারফরমেন্স সংক্ষিপ্ত সংস্করনে সহায়তা করতে পারে। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটে সাফল্যের জন্য জুটি ও টিম ওয়ার্ক দরকার।’
‘টেস্ট ক্রিকেটে ঘুড়ে দাঁড়ানোর সুযোগ থাকে। যদি আপনি প্রথমটিতে ব্যর্থও হন তবে সর্বদা দ্বিতীয় ইনিংস থাকে। বিভিন্ন দেশ বিভিন্নভাবে করোনাভাইরাসের সাথে লড়াই করছে। বিশ্বের সকল দেশকে একটি দলের অংশ হিসেবে বিবেচনা করা উচিত। এ যুদ্ধে আমাদের সেশন বাই সেশন এগোতে হবে এবং শেষ পর্যন্ত বিজয়ী হতে হবে।’