করোনাভাইরাসের কারণে দেশে সবধরনের ক্রিকেট স্থগিত করলো বিসিবি

301

ঢাকা, ১৯ মার্চ ২০২০ (বাসস) : প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের সংক্রমন বৃদ্ধি পাওয়ায় অনির্দিষ্টকালের জন্য দেশে সবধরনের ক্রিকেটকে স্থগিত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
বৃহস্পতিবার জরুরি বৈঠকের পর এমন সিদ্বান্তের কথা জানান বিসিবি সভাপতি।
করোনাভাইরাস থেকে খেলোয়াড়দের রক্ষা করতেই বিসিবি এমন সিদ্বান্ত নিয়েছে বলে জানান তিনি।
পাপন বলেন, ‘করোনাভাইরাসের সংক্রমনে বিশ্বের সকল খেলাধুলা থমকে গেছে। প্রথম রাউন্ডের পরই আমরা ডিপিএল স্থগিত করেছিলাম। তখন আমরা জানতাম না পরিস্থিতি কি হবে। তাই আমরা ঘোষনা দিয়েছিলাম, দ্বিতীয় রাউন্ডও স্থগিত করা হবে। এখন আমরা দেখতে পাচ্ছি, পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হচ্ছে। তাই আমরা একমত হয়েছি, ক্রিকেট চালিয়ে যাবার মত পরিস্থিতি আমাদের পক্ষে নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘পর্যায়ক্রমে পরিস্থিতির দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। একসময়, খেলোয়াড় ও ক্লাবগুলো এই পরিস্থিতিতে ক্রিকেট খেলতে চেয়েছিলো। কিন্তু ভাইরাসটি সংক্রমনের ফলে তারা ভিন্ন মতামত দিয়েছে।’
বিসিবি বস বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে, পরবর্তীতে নিদের্শ না দেয়া পর্যন্ত সব ধরনের ক্রিকেট স্থগিত করার সিদ্বান্ত নিয়েছি আমরা। যদি পরিস্থিতির উন্নতি হয়, তবে আমরা আবারো ক্রিকেট খেলা শুরু করবো।’
পাপন অবশ্য স্পষ্টভাবে বলেননি, কবে নাগাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে এবং খেলার জন্য অনুকূল হবে। তবে তিনি আশা করছেন, আগামী ১৫ এপ্রিল থেকে শুরু হবে ডিপিএল।
পাপন বলেন, ‘প্রতিনিয়ত পরিস্থিতি পরিবর্তন হচ্ছে, তাই আমরা নির্দিষ্ট সময় নিয়ে সিদ্বান্ত নিতে পারছি না। আমরা যদি জানতাম, মার্চের পর পরিস্থিতি বদলে যাবে তবে আমরা ৩১ মার্চ বলতাম। তবে আমরা বলতে পারি না, এ সময়ের মধ্যে পরিস্থিতি উন্নতি বা অবনতি হবে। আমরা মনে হয় না, ১৫ এপ্রিলের আগে ডিপিএল শুরু করা সম্ভব এবং এটি আরও পিছিয়ে দেয়া হতে পারে।’
বিসিবি সভাপতি জানান, শুধুমাত্র খেলোয়াড়রাই নন সকলেরই করোনাভাইরাস নিয়ে সর্তক হওয়া প্রয়োজন। এখন ক্রিকেটের সময় নয়।
তিনি বলেন, ‘লিগ শুরুর পর প্রত্যক ক্লাব থেকে খেলোয়াড়দের সচেনতা সর্ম্পকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিলো। তাদের এখন একই নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। আমরা আশা করবো, তারা বাইরে যাবে না এবং অন্যকে স্পর্শ করবে না। এটি লক ডাউন করা সম্ভব নয় কিন্তু যদি সম্ভব হয় এটি লক ডাউন করা উচিত।’
পাপন আরও বলেন, ‘বিসিবির স্টাফদের জন্যও একটি নির্দেশনা বহাল থাকবে। এটিকে হালকাভাবে নেয়ার কোন উপায় নেই। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া প্রত্যেক খেলোয়াড় এবং স্টাফদের বাইরে না যাবার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’