কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত ও পর্যটনস্পটগুলোতে জনসমাগম নিরুৎসাহিত করেছে জেলা প্রশাসন

294

কক্সবাজার, ১৮ মার্চ, ২০২০ (বাসস) : কক্সবাজার সমুদ্র-সৈকতসহ পর্যটন স্পটগুলোতে সব ধরনের জনসমাগম ও পর্যটকদের পদচারনা নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন বুধবার বিকেল থেকে পরবর্তী নিদের্শনা না দেওয়া পর্যন্ত সৈকতসহ পর্যটন স্পটগুলোতে জনসমাগম নিরুৎসাহিত করেছে।
বুধবার বিকাল ৫ টার দিকে ট্যুারিষ্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফখরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন,‘করোনা ভাইরাস সম্পর্কে অধিকতর সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে জনসমাগম বন্ধ রাখতে বলা হচ্ছে। এ বিষয়ে হোটেল মোটেলগুলোকে অবহিত করা হয়েছে। সৈকতে প্রবেশের ৩টি পয়েন্টে চেকপোষ্ট বসানো হয়েছে।’
এদিকে,কক্সবাজারের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মো: মাসুদুর রহমান মোল্লা জানিয়েছেন,কক্সবাজারে পর্যটক আগমনের উপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়নি। তবে পর্যটন-স্পটগুলোতে অধিক জনসমাগম নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।
এছাড়াও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বুধবার সকালে সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা, কলাতলীর ডলফিন মোড় সহ বিভিন্ন পয়েন্টে যানবাহন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও হোটেলে- মোটেলে করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সচেতনতামূলক প্রচারপত্র বিতরণ করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এ বিষয়ে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন জানিয়েছেন,পর্যটকবাহি কোন গাড়িকে সৈকত এলাকাসহ মেরিন ড্রাইভ সড়কে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। তিনি বলেন ‘যেহেতু সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করেছে অধিকতর সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে। তাই শিক্ষার্থীদের নিয়ে কোন গাড়ি পর্যটন এলাকায় আসার চেষ্টা করলে তাদেরকে ফিরিয়ে দেয়া হবে।’
কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন, কক্সবাজার জেলার কোথাও এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে বিদেশ ফেরত ৩ জন ব্যক্তিকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট শাহজাহান আলী জানিয়েছেন,হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নিদের্শনা অমান্য করায় বুধবার বিদেশ ফেরত ২ জনকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।