বাসস দেশ-৩৯ : করোনায় আতঙ্ক নয়, চাই সচেতনতা : মেয়র নাছির

207

বাসস দেশ-৩৯
চট্টগ্রাম- করোনা সভা
করোনায় আতঙ্ক নয়, চাই সচেতনতা : মেয়র নাছির
চট্টগ্রাম, ১৮ মার্চ, ২০২০ (বাসস) : চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, করোনা ভাইরাসে আতঙ্কিত নয়, সচেতন হতে হবে। একমাত্র সচেতনতাই পারে এ ভাইরাসের সংক্রমণ ও ক্ষতি কমাতে।
তিনি বলেন, সচেতনতার বদলে ভীতি ছড়ালে সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি হবে। তিনি কোনো ধরণের গুজবে কান না দিয়ে নগরবাসীকে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ যথাযথভাবে মেনে চলার অনুরোধ জানান।
মেয়র আজ বুধবার সকালে টাইগারপাসস্থ চসিক মিলনায়তনে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন কমিটির সদস্যদের জরুরি সভাশেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
মেয়র বলেন, আমরা সচেতনতার ওপর জোর দিচ্ছি। বিশেষ করে যারা বিদেশ থেকে আসছেন তাদের কোয়ারেন্টাইনে রাখছি। আরো সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে হোম কোয়ারেন্টাইনে কীভাবে থাকবে তা পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি ও লিফলেট আকারে প্রচার করা হবে। এ ছাড়া করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর জন্য চারটি হাসপাতাল নির্ধারণ করা হয়েছে।
সভায় চট্টগ্রামে স্বাস্থ্য পরিচালক হাসান শাহরিয়ার কবির, সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সামসুদ্দোহা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. সেলিম আকতার চৌধুরী, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. আলী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন ।
হাসান শাহরিয়ার কবির বলেন, করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় চট্টগ্রামে আইসোলেশন ওয়ার্ড এবং সাধারণ রোগীদের সুরক্ষায় প্রতিটি হাসপাতালে হ্যান্ডওয়াশের জন্য জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি জানান, চট্টগ্রাম জেলায় মোট ৯১ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। এখন পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিমানবন্দর দিয়ে ৫৬৭ জন এসেছেন। এদের মধ্যে ৫৬ জন ওমরাহ পালন করে দেশে ফিরেছেন। তাদের আমরা দীর্ঘ সময় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর নিয়েছি। শুধু ফোন নম্বর নয় দ্বিতীয় ও তৃতীয় ব্যক্তির ফোন নম্বরও রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, যারা কোয়ারেন্টাইনে যাচ্ছে তারা দু’টি ভাগে বিভক্ত। একটি অংশ গ্রামের বাড়িতে চলে যাচ্ছে, আরেকটি শহরকেন্দ্রিক থাকছে। যারা গ্রামে চলে যাচ্ছেন তাদের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট উপজেলার ইউএনও এবং ওসিরা খোঁজখবর রাখছেন। বিভিন্ন মাধ্যমে কোয়ারেন্টাইনে থাকা মানুষের তথ্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয়, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে পর্যন্ত বিষয়গুলো অবগত করা হয়েছে।
শাহরিয়ার কবির বলেন, চট্টগ্রাম মহানগরের ৪১টি ওয়ার্ডে আমরা কমিটি করে দেয়া হয়েছে। ৪১টি ওয়ার্ডে স্বাস্থ্যকেন্দ্র আছে। চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তার নেতৃত্বে এ বিষয়গুলো তদারকি করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য পরিচালক বলেন, যারা হোম কোয়ারেন্টাইন মানছেন না তাদের ব্যাপারে মেট্রোপলিটন পুলিশের কর্মকর্তারা সিদ্ধান্ত নেবেন। এছাড়া জেনারেল হাসপাতালে ১০০ শয্যার আইসোলেশন এবং ফৌজদারহাটে বিআইটিআইডিতে আরও ৫০ শয্যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া নগরে রেলওয়ে হাসপাতাল রয়েছে, যেটিকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন এবং আইসোলেশন দু’টি কাজেই ব্যবহার করা যাবে। তা ছাড়া প্রত্যেকটি হাসপাতালের সামনে জরুরি ভিত্তিতে বেসিন লাগানো হয়েছে এবং সেখানে সাবানসহ হাত ধোয়ার সব সামগ্রী রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, সর্দি-কাশির কোনো রোগী আসলে তাদের পূর্বের কেস হিস্ট্রি দেখে চিকিৎসা দেওয়া হবে। যদি এমন কোনো কেস হিস্ট্রি পাওয়া যায় তাহলে তাদের সন্দেহাতীতভাবে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হবে।
বাসস/কেএস/২১০০/এইচএন