বাসস দেশ-৩৭ : সিলেট অঞ্চলে ৬৩৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে

213

বাসস দেশ-৩৭
হোম-কোয়ারেন্টাইন
সিলেট অঞ্চলে ৬৩৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে
সিলেট, ১৮ মার্চ ২০২০ (বাসস) : করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সিলেট অঞ্চলে ৬৩৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
প্রশাসন জানিয়েছে, এ বিষয়ে তাদের পক্ষ থেকে নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে। যারা হোম কোয়ারেন্টাইন মানছেন না এ বিষয়ে এক-দু’দিনের মধ্যেই আইন প্রয়োগ শুরু হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ডা. আনিসুর রহমান বুধবার বলেন, হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা বেশিরভাগই প্রবাসী ও তাদের স্বজন। মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার পর্যন্ত ২০২ জনকে এর আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে।
গত ৮ দিনে দেশের বাইরে থেকে আসা প্রবাসীসহ সর্বমোট ৬৩৪ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। এর মধ্যে সিলেট জেলায় ৪২১, সুনামগঞ্জে ৪০, হবিগঞ্জে ২২ এবং মৌলভীবাজারে ১৫১ জন।
তিনি বলেন, বিমানবন্দর এবং স্থলবন্দরের কাস্টমসে আগত প্রবাসীদের ডাটা সংগ্রহ করা হচ্ছে এবং তখনই তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক হাফিজ আহমদ জানান, আজ বুধবার আবুধাবি, ম্যানচেস্টারসহ বিভিন্ন দেশ থেকে ২৫২জন আন্তর্জাতিক যাত্রী এসেছেন। স্বাস্থ্য বিভাগের পরিসংখ্যানে এখনও এই ২৫২জন অন্তর্ভূক্ত হয়নি।
বিদেশ থেকে আসা প্রবাসীরা অনেকেই হোম কোয়ারেন্টাইনে না থেকে বাইরে চলাচল করছেন বলে একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে। সিলেটের জেলা প্রশাসকের কাছে এমন কয়েকটি অভিযোগ জমা পড়েছে।
সিটি কর্পোরেশনের ২০ নং ওয়ার্ডের একজন বাসিন্দা বাসস এর কাছে অভিযোগ করেন, সম্প্রতি লন্ডন থেকে দেশে আসেন সিলেট শহরের বালুচর এলাকার এক যুবক। তিনি দেশে ফিরে তিন-চারদিনের মধ্যে কনে দেখতে শহরের অন্য একটি এলাকায় যান। একইভাবে হোম কোয়ারেন্টাইন না মেনে অনেকেই মার্কেটে কেনাকাটা করছেন, স্বজনদের নিয়ে ঘুরতে যাচ্ছেন।
এমন পরিস্থিতিতে সিলেটে করোনা ভাইরাসের প্রদুর্ভাব বাড়তে পারে। সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আসলাম উদ্দিন বাসসকে বলেন, নিজের পরিবার, প্রতিবেশিসহ দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে প্রবাসীরা যেনো হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকেন।
তিনি বলেন, হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা লোকদের ব্যাপারে নজরদারি বাড়াতে জেলা থেকে ইউনিয়ন পর্যন্ত স্বাস্থ্য বিভাগ, পুলিশ প্রশাসন ও জনপ্রতিধিদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কেউ কেউ মানছেন না-এমন অনেকগুলো অভিযোগ ইতোমধ্যে এসেছে।
তিনি আরও বলেন, আগামীকাল বা পরশু দিনের মধ্যে আইনের প্রয়োগ শুরু হবে। যারা নিয়ম মানবেন না, তাদের বিরুদ্ধে রোগ সংক্রমণসহ এ সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগ করা হবে। আইন অমান্যকারীর সর্বোচ্চ ছয় মাস কারাদন্ড এবং ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. প্রেমানন্দ মন্ডল জানান, নগরীর শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে ইউকে ফেরত একজন প্রবাসী নারীকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এছাড়া প্রবাসী যারা দেশে আসছেন তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। ১৪দিন পর্যন্ত তারা ঘর থেকে বের হতে পারবেন না।
সিভিল সার্জন বলেন, সবারই সচেতন হওয়া প্রয়োজন। সচেতনতা কিছুটা বাড়ছে, অনেকেই এটা মানছেন, আবার অনেকেই মানছেন না। যারা অমান্য করছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রশাসন।
বাসস/সংবাদদাতা/এমএন/২০৪৫/এবিএইচ