করোনা সংক্রামক কি না গেজেটের মাধ্যমে জানাতে হাইকোর্ট আদেশ

225

ঢাকা, ১৮ মার্চ ২০২০ (বাসস) : সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন অনুসারে করোনা ভাইরাসকে গেজেটের মাধ্যমে সংক্রামক রোগ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে কিনা তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
এ সংক্রান্ত এক রিটের শুনানিতে বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীর সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ রাষ্ট্রপক্ষের কাছে এ তথ্য জানতে চেয়েছেন।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করে কাল বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানাবেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল দেবাশিস ভট্টাচার্য্য।
সাংবাদিকদের তিনি জানান, আদালত জানতে চেয়েছেন এ বিষয়ে গেজেট জারি করা হয়েছে কিনা। কাল বৃহস্পতিবারের মধ্যে এটা জানাতে হবে। কাল এ বিষয়ে আদেশের জন্য রাখা হয়েছে।
আদালতে আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির পল্লব।
বিষয়টি নিয়ে আজ শুনানির সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির নব নির্বাচিত সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
তিনি বলেন, এ রিট পিটিশনের শুনানির সময় আমি আদালতে উপস্থিত ছিলাম। আদালত বলেছেন-আনুষ্ঠানিক আদেশ আগামীকাল দেবেন। আজকে ওই কোর্টের ডেপুটি এটর্নি জেনারেলের মাধ্যমে সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮ ৪ এর (ভ) অনুসারে এটাকে সংক্রামক রোগ হিসেবে ঘোষণা করার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দিয়েছেন।
সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮ এর ৪ এ বলা হয়েছে, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সংক্রামক রোগ অর্থে নিম্নবর্ণিত রোগসমূহ অন্তর্ভুক্ত হইবে, (ভ) সরকার কর্তৃক, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, ঘোষিত কোনো নবোদ্ভূত বা পুনরুদ্ভূত রোগসমূহ।
এর আগে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষায় উচ্চ আদালত ও নিম্ন আদালতে পরবর্তী অবকাশকালীন ছুটি স্থানান্তর করে এখনই ছুটি কার্যকর চেয়ে রিট আবেদন করা হয়েছে। এছাড়া রিট আবেদনে বিদেশ থেকে বাংলাদেশে আগতদের সংশ্লিষ্ট বন্দর থেকেই বাধ্যতামূলকভাবে সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন কোয়ারেন্টাইনে রাখার নির্দেশনা চেয়ে আর্জি জানানো হয়েছে।
ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে ব্যারিস্টার হুমায়ন কবির পল্লব আজ হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দায়ের করেন।
গত ১৩ মার্চ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত উচ্চ আদালত অবকাশকালীন ছুটিতে রয়েছে। আবেদনে ডিসেম্বরে থাকা অবকাশকালীন ছুটি স্থানান্তর করে এখন নিম্ন আদালতে সেই ছুটি কার্যকর এবং মে, জুলাই, আগস্ট, সেপ্টেম্বর ডিসেম্বরে থাকা অবকাশকলীন ছুটি স্থানান্তর করে এখন সুপ্রিমকোর্টে সেই ছুটি কার্যকরের জন্য রুল জারিরও আর্জি জানানো হয়েছে।