বাসস দেশ-২৩ : কারখানায় থার্মাল স্ক্যানিং যন্ত্র বসানোর নির্দেশ

112

বাসস দেশ-২৩
কলকারখানা পরিদপ্তর-নির্দেশনা
কারখানায় থার্মাল স্ক্যানিং যন্ত্র বসানোর নির্দেশ
ঢাকা, ১৮ মার্চ, ২০২০ (বাসস) : দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধ ও নিয়ন্ত্রণে প্রত্যেক কারখানায় থার্মাল স্ক্যানিং যন্ত্র বসানোর নির্দেশ দিয়েছে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন পরিদপ্তর।
গত রোববার সংস্থাটি এক নির্দেশনায় বলেছে কারখানা ও প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সকল শ্রমিক,কর্মচারী ও কর্মকর্তাকে কর্মস্থলে প্রবেশের পূর্বে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে প্রবেশ নিশ্চিত করতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন হলে প্রত্যেক কারখানায় থার্মাল স্ক্যানিং যন্ত্র বসাতে হবে।
এ বিষয়ে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন পরিদপ্তরের মহাপরিদর্শক শিবনাধ রায় বুধবার বাসসকে বলেন,‘ করোনা ভাইরাসের সাম্প্রতিক প্রভাব বাংলাদেশেও পড়েছে। এমতাবস্থায় সরকার করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধ ও নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। এর অংশ হিসেবে আমরা কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠানসমূহকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশ প্রদান করেছি।’
তিনি জানান, কারখানা ও প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক,কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের কর্মস্থলে প্রবেশের পূর্বে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। এর জন্য প্রয়োজন হলে প্রত্যেক কারখানায় থার্মাল স্ক্যানিং যন্ত্র বসাতে হবে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ সংক্রান্ত সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউট (আইইডিসিআর) নির্দেশিত নির্দেশনাসমূহ পোস্টার বা লিফলেট আকারে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে বিতরণ করতে হবে, যাতে তারা সচেতন হতে পারে। এছাড়া ক্যান্টিন, বিশ্রামাগার, শিশুকক্ষ, বিনোদন কক্ষসহ জনসমাগম স্থানে জরুরীভিত্তিতে এ সংক্রান্ত পোস্টার ও লিফলেট প্রদর্শন করতে হবে।
এর পাশাপাশি এ সময়ে কোন শ্রমিক, কর্মচারী বা কর্মকর্তা অসুস্থবোধ করলে, জ্বর হলে, কাশি বা শ্বাসকষ্ট হলে দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে চিকিৎসকের শরনাপন্ন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
নির্দেশনায় কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন পরিদপ্তরের আওতাধীন ২৩টি উপমহাপরিদর্শকের কার্যালয়কে স্থানীয় জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের সাথে যোগাযোগ স্থাপনপূর্বক শিল্প-কারখানা ও প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক কর্মচারীদের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য সংস্থাটি একটি হটলাইন চালু করেছে। ১৬৩৫৭ নম্বরে যোগাযোগ করে তথ্য আদান প্রদান করা যাবে।
বাসস/আরআই/১৯০০/কেজিএ