বঙ্গবন্ধুর লড়াই সংগ্রাম বাঙালি জাতির অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে : মমতা

198

কলকাতা, ১৮ মার্চ, ২০২০ (বাসস) : পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মাতৃভাষা ও মাতৃভূমির স্বাধীনতার জন্য লাড়াই-সংগ্রাম করেছেন, যা আজও বাঙালি জাতির অনুপ্রেরণা হয়ে আছে।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা মঙ্গলবার বিধান সভায় জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণের পর এ কথা বলেন।
এদিকে কলকতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন আয়োজিত আলোচনা সভায় সম্মানীয় অতিথির বক্তৃতায় রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শুধু একটি নাম নয়, একটি ইতিহাস।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু অন্যদেশের নেতা হলেও তাঁকে আমাদের নেতা মনে হয়, আমরা তাঁর রাজনেতিক আদর্শ এখনও গ্রহণ করি। ভৌগলিক দিক থেকে আলাদা হলেও আত্মিক দিক থেকে ভারত ও বাংলাদেশ একই সূত্রে গাঁথা।’
উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ মন্ত্রী শোভনদেব চট্রোপাধ্যায়। বিশেষ আতিথি ছিলেন প্রখ্যাত কথা সাহিত্যিক শির্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়।
বিদ্যুৎ মন্ত্রী শোভনদেব চট্রোপাধ্যায় বলেন, বাংলাদেশ একমাত্র দেশ, যে দেশের মাতৃভ্ষাা থেকে স্বাধীনতা সব কিছুই আন্দোলন করে অর্জন করতে হয়েছে, আর এর একমাত্র মহানায়ক ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কোন সামরিক শক্তি, রাজনৈতিক শক্তি কখনও তাঁকে দমাতে পারেনি।
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, বাঙালিকে দুর্দান্ত সাহসিকতার সাথে জাগিয়ে তোলার যাদুকরী ক্ষমতা ছিলো বঙ্গবন্ধুর, বঙ্গবন্ধুর কন্ঠস্বর শুনলেই শরীর শিহরিত হয়ে উঠতো।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে উপ-হাইকমিশন সকালে অফিস প্রাঙ্গনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান। পরে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র পতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। এরপর বঙ্গবন্ধুর আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
এ ছাড়া সকালে বঙ্গবন্ধুর ছাত্র-জীবনের স্মৃতিবিজরীত কলকাতা ইসলামিয়া কলেজের বেকার হোস্টেলে তাঁর প্রতিকৃতিতে প্ষ্পুস্তবক অর্পণ করে ইপ-হাইকমিশন। এসময় কলকাতায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের কর্মকর্তা-কর্মচারী, কলকাতায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নরত বাংলাদেশী ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ ছাড়াও স্থানীয় বিভিন্ন সংগঠনও বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ মূর্তিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।
বিকেলে উপ-হাইকমিশন প্রাঙ্গনে বঙ্গবন্ধুর উপর একটি প্রামান্য চিত্রপ্রদর্শন ও বঙ্গবন্ধুর একটি ম্যুরাল উদ্বোধন করা হয়। এরপর বঙ্গবন্ধুর জীবনও দর্শনের উপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।