বাসস দেশ-২২ : ভিয়েনায় জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন

131

বাসস দেশ-২২
বঙ্গবন্ধু-জন্মশতবার্ষিকী-পালন
ভিয়েনায় জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন
ঢাকা, ১৭ মার্চ, ২০২০ (বাসস) : ভিয়েনায় অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ও স্থায়ী মিশনের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসবের মধ্য দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করা হয়। এ উপলক্ষে দূতাবাস মিলনায়তনে এক বিশেষ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
অস্ট্রিয়ার ভিয়েনার বাংলাদেশ দূতাবাস ও স্থায়ী মিশন থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ মঙ্গলবার একথা জানানো হয়েছে।
সকাল নয়টায় দূতাবাস প্রাঙ্গণে প্রবাসী বাংলাদেশীদের অংশগ্রহণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয় এবং পবিত্র কোরান তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের পরবর্তী কার্যক্রম শুরু হয়। অনুষ্ঠানে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। এরপর অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য ও সংগ্রামী জীবনের ওপর সাধারণ আলোচনা হয়।
বিশ^ব্যাপী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ও বৈশি^ক মহামারি হিসেবে আবির্ভূত হওয়ায় এবং স্বাগতিক দেশের সরকার সে দেশে বসবাসরত সবাইকে হোম আইসোলেশনে থাকার নির্দেশনা জারি করায় দিবসের পূর্ব নির্ধারিত বিস্তারিত কর্মসূচি সংক্ষিপ্ত করা হয়।
বক্তারা তাঁদের বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবার এবং ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তারা স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতার দীর্ঘদিনের বিভিন্ন পর্যায়ের সংগ্রাম, পরবর্তীকালে দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র সংগ্রামের নেতৃত্ব এবং স্বাধীনতাত্তোর দেশ পুনর্গঠন ও জাতির সেবায় বঙ্গবন্ধুর অবদান এবং আত্মত্যাগ সম্পর্কে সারগর্ভ আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে জন্মদিনের কেক কেটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করা হয়। এ ছাড়া, অনুষ্ঠানে দূতাবাস কর্তৃক জুন ২০২০-এ অস্ট্রিয়ায় আয়োজিতব্য বঙ্গবন্ধু স্মৃতি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের জার্সি উন্মোচন করা হয়।
সমাপনী বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত জাতির পিতার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ও কর্মজীবনের বিভিন্ন দিক উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু একে অপরের প্রতিবিম্ব। বঙ্গবন্ধুর শৈশব ও কিশোরকালেই বপিত হয়েছিল বাঙালি জাতির কান্ডারী হিসেবে তাঁর আবির্ভাবের বীজ। শোষিত, বঞ্চিত ও নিপীড়িত মানুষের পক্ষে তাঁর কৈশোর থেকেই আন্দোলন ও সংগ্রাম তাঁকে পরবর্তীতে বাঙালি জাতি বিনির্মাণের এক আপোষহীন, দৃঢ়চেতা ও অবিসংবাদিত নেতায় পরিণত করে।
বাসস/সবি/এমএন/২০০৩/এসই