বাসস দেশ-৩৪ : স্বাস্থ্যখাতের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় শিগগিরই পিপিপি ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করা হবে : এলজিআরডি মন্ত্রী

235

বাসস দেশ-৩৪
এলজিআরডি মন্ত্রী – কর্মশালা
স্বাস্থ্যখাতের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় শিগগিরই পিপিপি ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করা হবে : এলজিআরডি মন্ত্রী
ঢাকা, ১৫ মার্চ,২০২০ (বাসস) : স্থানীয় সরকার,পল্ল¬ী উন্নয়ন (এলজিআরডি) ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, দেশের স্বাস্থ্যখাতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিগগিরই পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশীপ (পিপিপি) ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করা হবে।
তিনি আজ রোববার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘ইফেকটিভ পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশীপ ইন হেলথ সেক্টর অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক জাতীয় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনে বাস্তবায়নাধীন ‘ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) সাপোটর্ টু হেলথ এন্ড নিউট্রিশন টু দ্য পুওর অব বাংলাদেশ’ প্রকল্পের কার্যক্রম নিয়ে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
সরকারের একার পক্ষে এদেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা একটি চ্যালেঞ্জ-এ কথা উল্লেখ করে এলজিআরডি মন্ত্রী বলেন,‘এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পিপিপি ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করা হবে। ফলে নগর এলাকায় দরিদ্র ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবাও নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।’
তাজুল ইসলাম বলেন, সময়ের সাথে সাথে অনেক কিছুর পরিবর্তন হচ্ছে। গ্রামে কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা দেয়া হচ্ছে। সিটি কর্পোরেশন ও পৌর এলাকাগুলোতেও যাতে সাধারণ মানুষ প্রাথমিকভাবে স্বাস্থ্যসেবা নিতে পারে সে লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সকলকে স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের দায়িত্ব মূলত স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের হলেও স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন-২০০৯ ও স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন-২০০৯ অনুযায়ি সংশ্লি¬ষ্ট সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভা’কে স্ব-স্ব অধিক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন,‘বর্তমানে সিটি কর্পোরেশনগুলো প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের দায়িত্ব পালন করছে। বাংলাদেশে জাতীয়ভাবে মাতৃমৃত্যু ও শিশু মৃত্যুরোধ, টিকাদান কর্মসূচিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমরা অনেক সাফল্য পেয়েছি এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন স্বীকৃতিও পেয়েছি।
মন্ত্রী বলেন, গ্রামাঞ্চলের তুলনায় শহরাঞ্চল সকল জনগোষ্ঠীর জন্য প্রাথমিক স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে একটু পিছিয়ে রয়েছে। শহর এলাকায় জনসংখ্যার ক্রমবর্ধমান চাপের কারণে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পানি ও পয়ঃনিষ্কাষণের মতো সেবামূলক কাজের জন্য যথেষ্ট চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে।
তাজুল ইসলাম বলেন,‘আমরা ধারণা করতে পারি, আগামী ১০ বছরের মধ্যে দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক শহরে বাস করবে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদের সকলকে যথাযথ প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও শক্তিশালী ভূমিকা নিতে হবে।’
স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে এ কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ডেলিগেশনের মিনিস্টার কাউন্সিলর এন্ড হেড অব কো-অপারেশন মাওরিজিও সিয়ান, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব অমিতাভ সরকার ও প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব মেজবাহ উদ্দিন) বক্তৃতা করেন।
বাসস/সবি/জেডআরএম/২০৪০/জেহক