করোনা আশঙ্কায় চসিক নির্বাচন পেছানোর পরিস্থিতি এখনো হয়নি : সিইসি

211

চট্টগ্রাম, ১৪ মার্চ, ২০২০ (বাসস) : প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, করোনা ভাইরাসের আশঙ্কায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচন বন্ধ বা পেছানোর কোন পরিস্থিতি এখনো তৈরি হয়নি।
তিনি বলেন, করোনা যদি জাতীয় দুর্যোগে পরিণত হয় তখন ভেবে দেখা হবে।
তিনি শনিবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে চসিক নির্বাচন নিয়ে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী ও নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
আগামী ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
সিইসি বলেন, সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত ও কল-কারখানাগুলো ভোটের দিন দুপুর ১২টা পর্যন্ত চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় ভোটের দিন দূর-দূরান্ত থেকে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে আসতে পারেন না। অনেকে প্রতিবাদস্বরূপ ভোটকেন্দ্রেই আসেন না। সে কারণে ভোটের দিন সীমিত আকারে যানবাহন চালু রাখারও সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে যানচলাচল পুরোপুরি উন্মুক্ত হবে না।
তিনি বলেন, ইভিএম এর মাধ্যমে কে কাকে ভোট দিয়েছে সেটা প্রকাশ করার নিয়ম নেই। কেন্দ্রে সাংবাদিক প্রবেশ নিয়ে সিইসি বলেন, কেন্দ্রের ভেতরে ঢুকে লাইভ নেয়া যাবে না। কিন্তু ছবি তুলতে পারবেন। কারণ আপনাদের লাইভ কাস্ট করার কারণে নির্বাচন পরিচালনা কাজের ব্যাঘাত ঘটবে।
কে এম নূরুল হুদা বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে আমাদের কাছে কিছু অভিযোগ আসে। পোলিং এজেন্ট নিয়ে অভিযোগ আসে। পোলিং এজেন্ট ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেনা, এই অভিযোগগুলো আমরা বিভিন্নভাবে পর্যালোচনা করি। যারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তাদের অত্যন্ত নির্ভরশীল ব্যক্তি পোলিং এজেন্ট। তিনি প্রার্থীর প্রতিনিধিত্ব করেন, অনিয়ম প্রতিহত করেন। তাই এজেন্টদের কেন্দ্রে আসার আহ্বান জানান তিনি।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্মকর্তাদের প্রতি সিইসি বলেন, যখন একজন পোলিং এজেন্ট কেন্দ্রে যাবেন, তার নিরাপত্তার দায়িত্ব আপনাদের গ্রহণ করতে হবে।
প্রার্থীদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে সিইসি বলেন, এজেন্টদের ব্যাপারে আমরা অত্যন্ত আগ্রহী। আপনারা জোরপূর্বক হলেও কেন্দ্রে এজেন্ট পাঠাবেন। সুষ্ঠু ভোটের জন্য এজেন্ট দরকার। সবার সহযোগিতায় সিটি নির্বাচনকে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অবাধ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
সিইসি বলেন, এজেন্ট যাওয়া-না যাওয়া এটা প্রার্থীদের বিষয়। তবে ভোটকেন্দ্রে এজেন্ট গেলে তাকে বের করে দেয়া হয়, এ ধরনের ঘটনা গত নির্বাচনে হয়নি।
বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন সিএমপি কমিশনার মাহাবুবর রহমান, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন, চসিক নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান, সহকারী রিটার্নিং অফিসার মনির হোসেন খান প্রমুখ।