বাসস দেশ-২১ : জাতিসংঘের হাই-লেভেল পলিটিক্যাল ফোরামের অধিবেশন : মন্ত্রী পর্যায়ের ঘোষণার খসড়া তৈরি করলো বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া

406

বাসস দেশ-২১
জাতিসংঘ-রাজনৈতিক ফোরাম
জাতিসংঘের হাই-লেভেল পলিটিক্যাল ফোরামের অধিবেশন : মন্ত্রী পর্যায়ের ঘোষণার খসড়া তৈরি করলো বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া
ঢাকা, ১২ জুলাই, ২০১৮ (বাসস) : জাতিসংঘের হাই-লেভেল পলিটিক্যাল ফোরামের (এইচএলপিএফ) অধিবেশন চলছে। গত ৯ জুলাই থেকে অধিবেশন শুরু হয়।
জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের (ইকোসক) প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশ ও অষ্ট্রেলিয়াকে মন্ত্রী পর্যায়ের ঘোষণার খসড়া তৈরির জন্য কো-ফ্যাসিলিটেটর নিয়োগ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ও অষ্ট্রেলিয়া দায়িত্ব পাওয়ার পর খসড়া ঘোষণা তৈরির জন্য গত ২৫ জুন থেকে সদস্য রাষ্ট্রসমূহকে নিয়ে নেগোসিয়েশনের কাজ শুরু করে।
চূড়ান্ত নেগোসিয়েটেড ডকুমেন্টও গত ১১ জুলাই ইকোসকে জমা দেওয়া হয়েছে। এবারের এইচএলপিএফ’র মন্ত্রী পর্যায়ের ঘোষণা গৃহীত হতে যাচ্ছে অধিবেশনের শেষ দিন ১৮ জুলাই। আজ ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
উল্লেখ্য,টেকসই উন্নয়ন বিষয়ে এইচএলপিএফ হচ্ছে জাতিসংঘের মূল প্লাটফর্ম। টেকসই উন্নয়ন অগ্রগতি পর্যালোচনার জন্য জাতিসংঘের হাই-লেভেল পলিটিক্যাল ফোরাম (এইচএলপিএফ) প্রতিষ্ঠার বিষয়টি বাধ্যতামূলক করা হয় ২০১২ সালে। ২০১৫ সালে এজেন্ডা-২০৩০ গ্রহণের পর এবছর জাতিসংঘের তৃতীয় হাই-লেভেল পলিটিক্যাল ফোরাম অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
ফলোআপ ও রিভিউ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে স্ব-স্ব দেশের নেতৃত্বে ও পরিচালনায় জাতীয় ও উপ-আঞ্চলিক পর্যায়ে এজেন্ডা ২০৩০’র নিয়মিত ও সামগ্রিক পর্যালোচনার জন্য সদস্য রাষ্ট্রসমূহকে এইচএলপিএফ উৎসাহিত করে থাকে। এজেন্ডা-২০৩০’র নিয়মিত ও সামগ্রিক পর্যালোচনাকে বলা হয় ভলান্টারি ন্যাশনাল রিভিউ (ভিএনআর)। ভিএনআর স্বপ্রণোদিত এবং রাষ্ট্র-নেতৃত্বাধীন একটি প্রক্রিয়া যা উন্নত ও উন্নয়নশীল উভয় দেশসমূহের জন্য প্রযোজ্য। এটি সরকার ও মূল গ্রুপসমূহ এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য অংশীজনদের জন্য অংশীদারিত্বের একটি প্লাটফর্ম তৈরি করে। বাংলাদেশ গতবছর ৪২টি দেশের সাথে ভিএনআর-এ অংশগ্রহণ করে এবং পরিকল্পনা মন্ত্রীর নেতৃত্বে ইকোসকে বাংলাদেশে এসডিজি বাস্তবায়নের অগ্রগতি বিষয়ক জাতীয় প্রতিবেদন উপস্থাপন করে। এমডিজি’র সফল বাস্তবায়নের পর এসডিজি বাস্তবায়নে বাংলাদেশের অগ্রগতি ও এক্ষেত্রে প্রদত্ত রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি সংক্রান্ত প্রতিবেদনটি জাতিসংঘসহ সকল সদস্যরাষ্ট্রের দ্বারা প্রশংসিত হয়। এবছর ৪৭টি দেশ ভিএনআর এ অংশ নিচ্ছে।
চলতি এইচএলপিএফ -এ যে সকল টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য পর্যালোচনা করা হবে তা হলো এসডিজি-৬ (পানি বিষয়ক), এসডিজি-৭ (জ্বালানি বিষয়ক), এসডিজি-১১ (টেকসই নগর বিষয়ক), এসডিজি-১২ (টেকসই ভোগ্য পণ্য ও উৎপাদন বিষয়ক), এসডিজি-১৫ (জীববৈচিত্র্য বিষয়ক) এবং এসডিজি-১৭ (বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব বিষয়ক)।
এইচএলপিএফ’র মন্ত্রী পর্যায়ের পর্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব ও কান্ট্রি স্টেটমেন্ট প্রদান করবেন পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল। জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন এইচএলপিএফ’র মূলপর্বে এসডিজি-১৭ এর রিভিউ সেশনে একজন প্যানেলিস্ট হিসেবে অংশ নিচ্ছেন।
বাসস/সবি/জেডআরএম/১৮১৭/কেএমকে