নদী নিয়ে পাউবো ও জাইকার মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত

283

ঢাকা, ১১ মার্চ, ২০২০ (বাসস) : বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ও জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) সাথে ‘দ্য প্রজেক্ট ফর প্লানিং ক্যাপাসিটি এনহেন্সমেন্ট এন্ড এস্টাবলিসমেন্ট অফ এ টেকনোলজি অ্যাডাপটেশন সাইকেল অন কমপ্রিহেন্সিভ রিভার ম্যানেজমেন্ট’ শীর্ষক প্রকল্পের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
আজ পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এই স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো, পানি সম্পদ সচিব কবির বিন আনোয়ার,পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক এ এম আমিনুল হক, জাইকার প্রতিনিধি সদস্য ও মন্ত্রণালয়ের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
নদী ব্যবস্থাপনার টেকসই কৌশল এবং ব্যবস্থাপনা ওপর সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাতামুহুরী, সাঙ্গু ও কর্ণফুলি নদী এবং যমুনা-পদ্মার অববাহিকা প্রকল্প এলাকা হিসেবে নির্ধারিত হয়েছে।
জাইকার অর্থায়নে প্রায় ৪০ কোটি টাকার এই প্রকল্প সম্পর্কে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এমপি বলেন, ‘প্রকল্পটির লক্ষ্য অর্জিত হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শতবর্ষের ডেল্টা প্ল্যান বা¯Íবায়নকে বেগবান হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে তাঁর সুযোগ্যকন্যা শেখ হাসিনার নিরলসভাবে যে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তাতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ গড়তে জাইকা বাংলাদেশের অধিকাংশ উন্নয়ন কাজে সহযোগিতা আরো প্রসারিত করেছে।’
পরে পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম এমপি বলেন, ৪৮ বছর ধরে জাপান বাংলাদেশের উন্নয়ন অংশীদার। এই প্রকল্পের আওতায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও নদীর তীর সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনার নির্দেশিকা প্রণয়ন করা হবে। নির্দেশনা অনুযায়ী জাইকা’র অর্থায়নে পাইলট প্রকল্প গৃহীত হবে, যার লব্ধ জ্ঞান দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে সহায়তা করবে।
জাইকার প্রধান প্রতিনিধি রাও কি হিতো বলেন, জাপান নিজে দুর্যোগপ্রবণ হওয়ায় দুর্যোগ নিয়ে এতো কাজ করে থাকে। জাইকার এই প্রকল্পের মাধ্যমে ডেল্টা প্ল্যান বা¯Íবায়নে বাংলাদেশ আরো অগ্রগামী হবে, যেখানে নদীর প্রতিরক্ষামূলক কৌশলকে প্রাধান্য দেয়া হবে।
প্রসঙ্গত,২০০২ সালে জাপান-বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে স্বাক্ষরিত কারিগরি সহযোগিতা চুক্তির আওতায় কারিগরি সহযোগিতার লক্ষ্যে জাইকা ২০১৮ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রকল্পের জন্য অনুরোধ জানায়। এই প্রেক্ষিতে ২০১৯ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ড উক্ত প্রকল্পের প্র¯Íাব পাঠালে জাপান সরকার তা অনুমোদন করে। পরবর্তীতে জাইকা প্রেরিত প্রতিনিধি দলের সাথে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশিøষ্ট কর্মকর্তাদের মতবিনিময়ের ধারাবাহিকতায় জুলাই ২০২০ থেকে জুন ২০২৪ পর্যন্ত বা¯Íবায়নকাল নিয়ে প্রকল্পটির রেকর্ডস অব ডিসকাশন স্বাক্ষরিত হয়। জাপানী অর্থ-বছর ২০২০ এ কারিগরি সহায়তার জন্য প্র¯Íাবিত আরো ৩ টি প্রকল্প জাপান সরকারের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে বলে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।