বাসস দেশ-১৯ : দেশে প্রতি ১০ হাজারে ১৭ জন শিশু অটিজম বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন

147

বাসস দেশ-১৯
বিএসএমএমইউ-ইপনা-জরিপ
দেশে প্রতি ১০ হাজারে ১৭ জন শিশু অটিজম বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন
ঢাকা,১২ জুলাই,২০১৮(বাসস):বাংলাদেশে ১৬ থেকে ৩০ মাস বয়সী শিশুদের মাঝে অটিজম বিস্তারের হার প্রতি ১০ হাজারে ১৭ জন।
আজ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ)‘এ’ ব্লক অডিটোরিয়ামে ইনস্টিটিউট অব পেডিয়াট্রিক নিউরোডিজঅর্ডার এন্ড অটিজম (ইপনা) এর দেশব্যাপী পরিচালিত জরিপে প্রাপ্ত ফলাফল নিয়ে আয়োজিত এক ডিসেমিনেশন প্রোগ্রামে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সারা দেশের ৮টি বিভাগের ৩০টি জেলার ৮৫টি এলাকা চিহ্নিত করে ২০১৭ সালের মে থেকে নভেম্বর পর্যন্ত জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। ১৬ থেকে ৩০ মাস বয়সী মোট ৩৮ হাজার ৪৪০ জন শিশুর ওপর পরিচালিত এই জরিপে স্ক্রিনিং টুল হিসেবে প্রথমে ‘রেড ফ্লাগ’ পরে ‘এম-চ্যাট’ এবং সব শেষে ‘ডিএসএম-ফাইভ’ ব্যবহার করা হয়। এতে প্রতি ১০ হাজারে ১৭ জন শিশুর অটিজম পাওয়া যায়। এদের মধ্যে পল্লী এলাকায় প্রতি ১০ হাজারে ১৪ জন, শহর এলাকায় প্রতি ১০ হাজারে ২৫ জন আক্রান্ত পাওয়া যায়। জরিপে প্রাপ্ত ফলাফলে আক্রান্ত মেয়ে শিশুর চাইতে ছেলে শিশুর সংখ্যা প্রায় আড়াই গুণ বেশি দেখা যায়।
বিএসএমএমইউয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া’র সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, আইসিডিডিআরবি’র উপ-নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম এবং সূচনা ফাউন্ডেশনের ভাইস-চেয়ারপার্সন ও বিএসএমএমইউয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত। সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান।
অনুষ্ঠানে জরিপে প্রাপ্ত ফলাফল উপস্থাপন করেন ইপনা’র পরিচালক অধ্যাপক ডা. শাহীন আখতার। জরিপ নিয়ে প্রারম্ভিক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইপনার ডা. জান্নাতআরা শেফা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইপনাকে এধরনের বড় জরিপ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দেশের প্রতিবন্ধী শিশুদের প্রতি আন্তরিক। বিশেষ করে অটিজম ও অন্যান্য স্নায়ুবিকাশজনিত সমস্যায় আক্রান্ত শিশু ও তাদের পরিবারের সুরক্ষায় সরকার দু’টি আইন করেছে। এই জরিপের মাধ্যমে প্রাপ্ত হারকে ভিত্তি করে ভবিষ্যতে অটিজম আক্রান্ত শিশু ও তাদের পরিবারের সেবায় সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি হাতে নেয়া সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, অটিজম আক্রান্ত শিশু ও তাদের পরিবারের সেবায় বিএসএমএমইউ সবসময় পাশে থাকবে এবং সবধরনের সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখবে।
বাসস/সবি/এসএস/১৮০৫/-শহক