জনগণকে দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাস কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত করতে হবে : রাষ্ট্রপতি

397

ঢাকা, ৯ মার্চ, ২০২০ (বাসস) : রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ বলেছেন, টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় জনগণকে দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাস কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত করতে হবে।
আগামীকাল ১০ মার্চ ‘জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস-২০২০’ উপলক্ষে আজ এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ‘জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস-২০২০’ পালিত হচ্ছে জেনে রাষ্ট্রপতি সন্তোষ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ‘এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাসে পূর্ব প্রস্তুতি, টেকসই উন্নয়নে আনবে গতি’ যা জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে আমি মনে করি।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, ভৌগোলিক অবস্থান ও জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবের কারণে বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, বন্যা, নদীভাঙ্গন, ভূমিকম্প, অসময়ে মাত্রাতিরিক্ত বৃষ্টিপাত, পাহাড়ধ্বস, বজ্রপাত, শৈত্যপ্রবাহ ইত্যাদির প্রকোপ অতিমাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে জীবন-জীবিকার পাশাপাশি প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে।
তিনি বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় দেশের সকল উন্নয়ন কর্মকান্ডে দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাস কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। দুর্যোগ ঝুঁকি মোকাবিলায় স্থানীয় জনগণ এবং স্বেচ্ছাসেবকদের অংশগ্রহণমূলক কর্মকান্ডের সংস্কৃতি বিশ্বে বাংলাদেশকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
আবদুল হামিদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি)-কে সরকারি কর্মসূচি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাসের কার্যক্রম শুরু করেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগকে প্রতিহত করা না গেলেও দুর্যোগ মোকাবিলার পূর্ব প্রস্তুতির মাধ্যমে জীবন ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব। এ কারণে দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবসের গুরুত্ব অপরিসীম।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী সাড়ম্বরে উদ্যাপনের লক্ষ্যে ‘মুজিববর্ষ’ ঘোষণা করা হয়েছে। মুজিববর্ষে টেকসই উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়ে সকল কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে হবে। টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে জলবায়ু পরিবর্তন ও এর প্রভাব মোকাবিলায় জীববৈচিত্র সংরক্ষণ, সামুদ্রিক সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার ও টেকসই ব্যবহারে উদ্বুদ্ধকরণ এবং জনগণকে দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাস কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত করতে হবে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, গণমাধ্যম, স্থানীয় জনগণসহ সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রাক-দুর্যোগ প্রস্তুতি গ্রহণের মাধ্যমে দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি ও ঝুঁকিহ্রাসে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।