বাসস দেশ-৪ : সন্তানের বৈধতা নিরূপণ সংক্রান্ত ধারা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট

130

বাসস দেশ-৪
হাইকোর্ট-রিট-সন্তানের বৈধতা
সন্তানের বৈধতা নিরূপণ সংক্রান্ত ধারা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট
ঢাকা, ৯ মার্চ, ২০২০ (বাসস) : সস্তানের বৈধতা নিরূপণ সংক্রান্ত সাক্ষ্য আইনের ১১২ ধারা অসাংবিধানিক ঘোষণা করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে আজ রিট দায়ের করা হয়েছে।
আজ হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিমকোর্টের এডভোকেট ইশরাত হাসান রিটটি দায়ের করেন।
রিটে ১১২ ধারা কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, এই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে। এ ছাড়া রিটে ১১২ ধারা সংশোধনের নির্দেশনার আবেদনও রয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং লেজিসলেটিভ ও ড্রাফটিং বিভাগের সচিবকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
সাক্ষ্য আইনের ১১২ ধারায় বলা হয়েছে, যখন কোনো সন্তান তার বাবা-মায়ের বৈধ বিবাহের ফলে অথবা ডিভোর্সের ২৮০ দিনের মধ্যে জন্মগ্রহণ করে এবং উক্ত সন্তানের মা যদি অবিবাহিত থাকেন তবে উক্ত সন্তান, উক্ত ব্যক্তির বৈধ সন্তান হিসেবে চূড়ান্তভাবে প্রমাণিত হবে। কোনো সময়ে বিবাহিত পক্ষদ্বয়ের পরস্পরের মধ্যে মিলনের পথ উন্মুক্ত ছিল না। তবে জন্মের বিষয় দ্বারা অবশ্যই চূড়ান্তভাবে প্রমাণিত হবে যে, সে তার মায়ের সাথে বিবাহিত ওই ব্যক্তির সন্তান।
রিটকারী ইশরাত হাসান বলেন, সন্তানের পিতৃত্ব ও মাতৃত্ব পরীক্ষা হতেই পারে। কিন্তু বৈধতা বা অবৈধ ঘোষণা দেয়ার ব্যাপারটি একেবারেই অবান্তর। এর মাধ্যমে বৈধ ও অবৈধ সন্তানের মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টি হয়। কোনো সন্তান যদি আদালতের মাধ্যমে বৈধ প্রমাণিত না হয় তবে তাকে সারাজীবন অবৈধ সস্তানের উপাধি নিয়ে নিগৃহীত হতে হবে, সমাজের কাছে ছোট হতে হবে যা একেবারেই কাম্য নয়। ধর্ষণের ফলে সন্তান জন্ম গ্রহণ করতে পারে। মুক্তিযুদ্ধের সময় এ রকম অসংখ্য ঘটনার নজির রয়েছে। তিনি বলেন, এই আইন সংবিধানের ২৭, ২৮ ও ৩২ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং এটি অদ্ভুত ও বৈষম্যমূলক। এছাড়া মানবাধিাকর সংক্রান্ত বৈশ্বিক ঘোষনার পরিপন্থী। এ কারণেই বিষয়টি নিয়ে রিট করা হয়েছে।
বাসস/এএসজি/ডিএ/১৫১৫/-আসাচৌ