বাসস দেশ-৩১ : ব্লু-ইকোনমির বিকাশে বাংলাদেশ ও ভিয়েতনাম যুগপৎ কাজ করবে : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

246

বাসস দেশ-৩১
মৎস্যমন্ত্রী-ভিয়েতনাম-রাষ্ট্রদূত
ব্লু-ইকোনমির বিকাশে বাংলাদেশ ও ভিয়েতনাম যুগপৎ কাজ করবে : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
ঢাকা, ৮ মার্চ, ২০২০ (বাসস) : ব্লু-ইকোনমির বিকাশে বাংলাদেশ ও ভিয়েতনাম যুগপৎ কাজ করবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
রোববার বিকালে সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর দপ্তরে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ফাম ভিয়েত চিয়েন সাক্ষাৎ করতে আসলে মন্ত্রী একথা বলেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ, অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, যুগ্মসচিব মোঃ তৌফিকুল আরিফ, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডাঃ আবদুল জব্বার শিকদার এবং বাংলাদেশ-ভিয়েতনাম চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি এস এম রহমান এসময় উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত বলেন, “ভিয়েতনামের কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মাধ্যমে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে বিভিন্ন ধরণের তথ্য ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ে একসাথে কাজ করতে পারে। তথ্য বিনিময়ের মাধ্যমে দুটি দেশের সম্পর্ক আরো গভীর হতে পারে।” পরে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে ভিয়েতনামের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। এ বছর ভিয়েতনামের কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের পরিকল্পনা রয়েছে বলেও রাষ্ট্রদূত মন্ত্রীকে অবহিত করেন।
এ সময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। বাংলাদেশ ও ভিয়েতনাম দুটি দেশই দীর্ঘ সংগ্রাম করে স্বাধীনতা অর্জন করেছে। তাই দুটি দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক মিল রয়েছে। সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের জায়গাও দুটি দেশের মধ্যে অনেক যোগসূত্র রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও ভিয়েতনামের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক জোরদারে সব সময় গুরুত্ব আরোপ করেন।”
মন্ত্রী আরো বলেন, “দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ রক্ষা করে সকল দেশের সাথে বন্ধুত্ব, কোন দেশের সাথে শত্রুতা নয়-এটি বাংলাদেশের বৈদেশিক নীতি। বিদেশী বিনিয়োগ স্বাগত জানাতে বাংলাদেশ সব সময় প্রস্তুত। ভিয়েতনামের সাথে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে কাজ করতে আমরা প্রস্তুত আছি। এটা হতে পারে দুটি দেশের মধ্যে বিভিন্ন পরিকল্পনা, প্রশিক্ষণ, আমদানি-রপ্তানি, মানবসম্পদ ও দক্ষতা উন্নয়ন এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে।” প্রাথমিকভাবে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ তৈরি করে বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যকার সম্ভাবনাময় খাতগুলো চিহ্নিত করা যেতে পারে বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আরো বলেন, “ব্লু- ইকোনমির সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে আমরা ভিয়েতনামে সামুদ্রিক মৎস্য রপ্তানি করতে পারি। মাংস রপ্তানিতেও আমাদের সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা যৌথভাবে এ ব্যাপারে কাজ করতে চাই।”
পারস্পারিক আলোচনা শেষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূতের হাতে মুজিববর্ষের স্মারক তুলে দেন এবং ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত মন্ত্রীর হাতে ভিয়েতনামের ঐতিহ্য সম্বলিত একটি ক্রেস্ট তুলে দেন।
বাসস/সবি/এমএন/১৯৫০/অমি