মোদির আসা নিয়ে অরাজকতা হলে কঠোর ব্যবস্থা : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

360

ঢাকা, ৮ মার্চ, ২০২০ (বাসস) : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠান উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর নিয়ে কোনো গোষ্ঠী অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আজ রোববার নওগাঁর ধামইরহাটে মাদক ব্যবসায়ীদের আত্মসমর্পণ ও নতুন থানা ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ভারত আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অকৃতিম বন্ধু দেশ। সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আগামী ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী অনুষ্ঠানে নরেন্দ্র মোদি উপস্থিত থাকবেন। তিনি ছাড়াও আমাদের অন্যান্য বন্ধ’ রাষ্ট্রের সরকার প্রধানগনও উপস্থিত থাকবেন। বিদেশী অতিথিদের উপস্থিতিতে দেশের কোনো গোষ্ঠী যদি দেশে অহেতুক ঝামেলা সৃষ্টি করতে চায়, তাঁদের রুখতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে।’
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আমরা স্বাগত জানাই এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে বরন করা হবে। তার নিরাপত্তার জন্য সারাদেশে সশস্ত্র বাহিনীর পাশাপাশি আইনশূংখলা বাহিনী সার্বক্ষনিক কাজ করে যাবে। যাতে কোন রকম কোন অপ্রীতিকর ঘটনা বা অহেতুক ঝামেলা করে নিরাপত্তার বিঘœ ঘটিয়ে কোন সুবিধাভোগি তৃতীয় পক্ষ সুযোগ গ্রহন করতে না পারে সেই জন্য আইনশৃংখলা বাহিনী সতর্ক রয়েছে।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি, শহীদুজ্জামান সরকার এমপি, ইসরাফিল আলম এমপি, ছলিম উদ্দিন তরফদার এমপি, ব্যারিষ্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন এমপি, পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি এ,কে,এম হাফিজ আকতার, নওগাঁর জেলা প্রশাসক হারুন অর-রশীদ, পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান মিয়া, নওগাঁ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেক এমপি মোঃ আব্দুল মালেকসহ জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
নওগাঁর ৫৬ জন চিহ্নিত মাদক কারবারির আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে আসাদুজ্জামান খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। মাদককে রুখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে। সরকারের সচেতনতা কর্মসূচির ফলে মাদক ব্যবসায়ীরা, চোরাকারবারিরা আজকে অন্ধকার পথ ছেড়ে আলোর পথে ফিরে আসছেন।
স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে ৮৮ হাজারের ওপরে কারাবন্দী রয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৩০ শতাংশ মাদক ব্যবসায়ী কিংবা মাদকসেবী। এতেই বোঝা যায় বর্তমানে দেশে মাদকের ছোবল কতটা? মাদকের এই ভয়াবহতা রুখতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। মাদকের সরবরাহ বন্ধ করতে দেশের সীমান্ত এলাকায় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের যে অভাবনীয় উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে সেই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় র্খাতে হলে মাদককে রুখতেই হবে। এই কাজে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী পাশাপাশি সমাজের সকল মহলের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে।