বাসস দেশ-২২ : চীন থেকে বাংলাদেশে উৎপাদন স্থানান্তরের কথা বিবেচনা করছে জাপানী প্রতিষ্ঠান

242

বাসস দেশ-২২
জেবিসিসিআই-জাপানিজ-কোম্পানি
চীন থেকে বাংলাদেশে উৎপাদন স্থানান্তরের কথা বিবেচনা করছে জাপানী প্রতিষ্ঠান
ঢাকা, ৭ মার্চ, ২০২০ (বাসস) : জাপান বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (জেবিসিসিআই) লক্ষ্য করেছে যে কয়েকটি জাপানি প্রতিষ্ঠান চীন থেকে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশে তাদের উৎপাদন সরিয়ে নেয়ার কথা বিবেচনা করছে। নগরীর লেকশোর হোটেলে জেবিসিসিআই আজ কনভেয়ার লজিস্টিকস লিমিটেড আয়োজিত জেবিসিসিআইয়ের দশম নেটওয়ার্কিং গেদারিং-এ এই পর্যবেক্ষণের কথা তুলে ধরে।
অনুষ্ঠানে জাপানের রাষ্ট্রদূত নওকি ইতো প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন এবং জেবিসিসিআইয়ের সভাপতি ইউজি অ্যান্ডো অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
নওকি ইতো বলেন, জাপানি প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখাচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশে ৩১০ টি জাপানী প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম চালাচ্ছে। তিনি বলেন, আমলাতন্ত্র এবং কর নীতিমালা সংক্রান্ত বিষয়গুলো সহজ করা হলে এবং সরকারী কর্মকর্তারা বিদেশী বিনিয়োগকারীদের সহযোগিতায় আরও এগিয়ে আসলে এই সংখ্যা বাড়বে।
তিনি মনে করেন, মেগা প্রকল্পের দিক থেকে ২০২০-২০২৪ বছর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মেট্রো রেল, পদ্মা সেতু এবং মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরের মতো মেগা প্রকল্পগুলো সম্পন্ন হবে।
ইউজি অ্যান্ডো বলেন, কিছু জাপানী প্রতিষ্ঠান চীন থেকে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশে তাদের উৎপাদন স্থানান্তরের কথা বিষয়ে বিবেচনা করছে। এজন্য সহায়ক কাঠামো অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ উন্নত সহায়ক কাঠামোর ওপরই সরবরাহ ব্যবস্থা নির্ভর করে। সাম্প্রতিক করোনার ভাইরাস বিশ্বের বৃহত্তম উদ্বেগের বিষয় এবং এটি বিশ্ব সরবরাহ চেইনে বিশাল প্রভাব ফেলছে। আমরা জানি যে আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে পরিবহন ও সহায়ক কাঠামো ব্যবস্থাই মূল বিষয়।
তিনি বলেন, আগামী পাঁচ বছরের জন্য লজিস্টিক সহায়ক কাঠামো পরিবেশ উন্নয়ন এবং নিয়মকানুনের উন্নতির জন্য বাংলাদেশকে প্রস্তুত নিতে হবে। এই ক্ষেত্রে, লজিস্টিক খাতে বাধাগুলো অপসারণে সরকারকে অনুরোধ করার জন্য আমাদের সকল সদস্যের সমর্থন দরকার।
অন্যান্যের মধ্যে এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেবিসিসিআইয়ের কোষাধ্যক্ষ হিদাকি এবং সেক্রেটারি জেনারেল তারেক রফি ভূঁইয়া (জুন)।
বাসস/সবি/কেইউসি/অনু-এসই/১৯৩৫/কেএমকে