৭ মার্চের ভাষণের ইউনেস্কো রেজিস্টারভূক্তি চড়া মূল্যে পাওয়া মহান স্বাধীনতারও স্বীকৃতি : শিক্ষামন্ত্রী

235

ঢাকা, ৭ মার্চ, ২০২০ (বাসস) : শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি বলেছেন, ইউনেস্কোর ইন্টারন্যাশনাল মেমোরী অব দ্য ওর্য়াল্ডে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭মার্চের ভাষণ রেজিস্টারভূক্তির মাধ্যমে চড়া দামে পাওয়া দেশের স্বাধীনতা বিশ্বের স্বীকৃতি পেয়েছে।
তিনি বলেন, বিশ্বের অনেক বড় বড় রাজনীতিবিদ ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছেন। কিন্তু এতো সংক্ষিপ্ত, অলিখিত কোন ভাষণ স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম দেয়নি।
আজ রাজধানীর আজিমপুর সরকারী গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ মিলনায়তনে বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ইউনেস্কোর ইন্টারন্যাশনাল মেমোরী অব দ্য ওর্য়াল্ডের রেজিস্টারভূক্তি উপলক্ষে আয়োজিত দিনব্যাপী প্রদর্শনী ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক দীপুমনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্বে ভাষা ভিত্তিক জাতি রাষ্ট্রের জন্ম দিয়েছে। সে জন্যই বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক এই ভাষণ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ভাষণের অন্যতম।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব এবং বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের সেক্রেটারী জেনারেল মো. মাহবুব হোসেনের সভাপেিত্ব অনুষ্ঠিত সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের ডেপুটি সেক্রেটারী জেনারেল আবু হেনা মোরশেদ জামান।
সভায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের ইউনেস্কোর প্রতিনিধির পক্ষে সুন লে।
বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের চেয়ারম্যান ডা. দীপুমনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণে তৎকালীন সাড়ে ৭ কোটি মানুষের হৃদয়ে অনুরণ সৃষ্টি করেছিল। মাত্র ১৮ মিনিটের এই ভাষণে ২৩ বছরের বঞ্চনার বর্ণনা যেমন ছিল তেমনি ছিল মহান স্বাধীনতার ডাক।
তিনি বলেন, মহাকালের আবর্তে অনেক কিছুই হারিয়ে যায়। কিন্তু আদর্শ থেকে যায়। বঙ্গবন্ধুর আদর্শও তেমনি, এটা কখনো হারিয়ে যাবে না।
মন্ত্রী আরো বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর এই আদর্শ ছড়িয়ে দিতে চাই, যাতে তারা সে আদর্শকে বুকে ধারণ করে তাঁর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে পারে।
জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু করা হয় এবং বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আয়োজিত প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।
পরে ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ ইউনেস্কোর ইন্টারন্যাশনাল মেমোরী অব দ্য ওর্য়াল্ড রেজিস্টারভূক্ত হওয়ার প্রেক্ষাপট ও তাৎপর্য নিয়ে নির্মিত তথ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।