বর্ণাঢ্য আয়োজনে বঙ্গবন্ধু স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপের আনুষ্ঠানিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শুরু

213

ঢাকা, ৭ মার্চ ২০২০ (বাসস) : বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদ্বোধন হলো বঙ্গবন্ধু স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২০ এর আনুষ্ঠানিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার।
সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে এই চ্যাম্পিয়নশীপের উদ্বোধন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, এমপি। একইসাথে তিনি আজ অনুষ্ঠিত ম্যারাথন ও সাইক্লিং প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো: জাহিদ আহসান রাসেল, এমপি।
সকালে হাতিরঝিলে ম্যারাথন দিয়ে শুরু হয় এই আয়োজন। ম্যারাথনে ছেলেদের বিভাগে স্বর্ণপদক জয় করেছেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আল আমিন। এই বিভাগে দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছেন যথাক্রমে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তরিকুল ইসলাম ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাজ্জাদ। মেয়েদের ম্যারাথনে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবিহা আল সোহা। এই বিভাগে রৌপ্য জিতেছেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মারজিয়া আফরিন এবং ব্রোঞ্জ জিতেছের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হামিদা আক্তার জেবা।
সাইক্লিংয়ে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর ছেলেদের বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইফুল ইসলাম রাসেল। এই বিভাগে রৌপ্য জয় করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সায়েম ও ব্রোঞ্জ জিতেছেন প্রাইম ইউনিভার্সিটির সানোয়ার। সাইক্লিংয়ে মেয়েদের বিভাগে স্বর্ণ জয় জয় করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শাজনীন জাহান। এই বিভাগে রৌপ্য ও ব্রোঞ্জ পদক জিতেছেন যথাক্রমে গণবিশ্ববিদ্যালয়ের সাবিনা খাতুন ও ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির নিশাত আনজুম।
পুরস্কার বিতরণীর আগে সভাপতির বক্তব্যে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো: জাহিদ আহসান রাসেল এমপি, ঐতিহাসিক ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে তরুণদের উজ্জীবিত হওয়ার আহবান জানান। খেলাধূলার উন্নয়নে আন্ত:বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আন্ত:কলেজ ও আন্ত:স্কুলসহ ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন আয়োজনের কথা স্মরণ করিয়ে দেন তিনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, এমপি বলেছেন, খেলাধুলার আয়োজনে বর্তমান সরকার সবসময়ই উদ্যোগী। তিনি নিজেও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে নিয়মিত খেলাধুলা করেছেন। ১০০ মিটার, হাই জাম্প, লং জাম্প খেলেছেন নিয়মিত। সংগঠক হিসেবে বাংলাদেশের ক্রিকেটসহ অন্যান্য খেলার প্রসারে কাজ করেছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, খেলাধুলায় আগ্রহী হয়ে যুবসমাজ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে বড় অবদান রাখতে পারবে।
বিভিন্ন বিভাগে চ্যাম্পিয়নদের মেডেল ছাড়াও পাঁচ হাজার টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়।
পোলারের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের সর্ববৃহৎ এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবার মুজিববর্ষে হচ্ছে আরও বড় পরিসরে। ১০১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশগ্রহণে এবারের আসরে লড়ছে প্রায় ৬ হাজার বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে নারী ক্রীড়াবিদ রয়েছেন ১২০০ জন।
আজ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলেও ইতোমধ্যেই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়ে গেছে বিভিন্ন ইভেন্টের প্রতিযোগিতা।
এবারের আসরে রয়েছে ১২টি ইভেন্ট। অ্যাথলেটিকস, ফুটবল, ক্রিকেট, বাস্কেটবল, টেবিল টেনিস, ব্যাডমিন্টন, ভলিবল, সাইক্লিং, সাঁতার ও হ্যান্ডবলের সঙ্গে এবার নতুন করে যোগ হয়েছে দাবা ও কাবাডি। সব মিলে ৬৮৭টি পদকের জন্য হবে ৪২টি পৃথক প্রতিযোগিতা। এখান থেকে একটি বিশ্ববিদ্যালয় পাবে চ্যাম্পিয়নের স্বীকৃতি। আর একজন করে পুরুষ ও নারী খেলোয়াড় পাবে সেরার পুরস্কার। দেশের ১৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্যায়ক্রমে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবারের আসর।