বাসস দেশ-২৫ : এলডিসি থেকে উত্তরণের পর বাংলাদেশের সামনে তিন চ্যালেঞ্জ

234

বাসস দেশ-২৫
পিআরআই-কর্মশালা
এলডিসি থেকে উত্তরণের পর বাংলাদেশের সামনে তিন চ্যালেঞ্জ
ঢাকা, ৫ মার্চ, ২০২০ (বাসস): স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তরণের পর তিনটি চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে বাংলাদেশের সামনে। প্রথমত বাণিজ্যিক চাপ সৃষ্টি, দ্বিতীয়ত নীতিমালা তৈরিতে সুযোগ সংকোচন এবং তৃতীয়ত উন্নয়ন সাহায্য কমে আসতে পারে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আগে থেকেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) গবেষণা পরিচালক ড. এম এ রাজ্জাক।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) মিলনায়তনে সামষ্টিক অর্থনীতি ও এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন বিষয়ক কর্মশালায় এসব কথা বলেন তিনি।
ইআরএফ ও পিআরআই যৌথভাবে এ কর্মশালার আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পিআরআই চেয়ারম্যান ড. জায়েদি সাত্তার, নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর ও ইআরএফ সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলাম।
ড. রাজ্জাক বলেন, স্বল্পোন্নত আয়ের দেশ হওয়ার কারণে পণ্য রপ্তানিতে জিরো ডিউটি বা শূন্য শুল্ক সুবিধা পাচ্ছে বাংলাদেশ। কিন্তু ২০২৪ সালের পর ন্যুনতম ২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক গুণতে হবে আমাদের। বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় রপ্তানি বাজার ইউরোপীয় ইউনিয়ন। সম্প্রতি ব্রেক্সিটের ফলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বাংলাদেশ। কারণ এর আগে বাংলাদেশের একটি পণ্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি দেশ থেকে অন্য দেশে রপ্তানির জন্য পৌঁছানো সম্ভব ছিল। কিন্তু ব্রেক্সিটের ফলে এখন এই প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে।
তিনি আরো বলেন, তখন চাইলেই আমদানি রপ্তানি নীতিমালা পরিবর্তন করতে পারবে না বাংলাদেশ। দেশের জন্য ক্ষতিকারক হলেও বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে। দেয়া যাবে না কোন রপ্তানি ভর্তুকি। এছাড়া বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগিদের কাছ থেকে সহায়তার পরিমাণ কমে আসতে পারে বলে মনে করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে পিআরআই গবেষণা পরিচালক ড. আহসান মনসুর বলেন, গত কয়েক বছরে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন ভাতা পেনশন এবং ভর্তুকিসহ যে পরিমাণ সরকারি ব্যয় বেড়েছে, সে অনুযায়ী রাজস্ব আয় করতে পারছে না সরকার। এভাবে চলতে থাকলে আর্থিক খাত ক্ষতির সম্মুখীন হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
বাসস/এএসজি/আরআই/১৯০০/-শআ