জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করে বীরের বেশে ‘অধিনায়ক’ মাশরাফির বিদায় চায় বাংলাদেশ

314

সিলেট, ৫ মার্চ ২০২০ (বাসস) : টানা চতুর্থবারের মত জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করার লক্ষ্যে আগামীকাল সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে খেলতে নামছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। সিলেটের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুপুর ২টায় শুরু হবে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেটি।
অধিনায়ক হিসেবে আগামীকাল শেষ ম্যাচটি খেলতে নামবেন মাশরাফি। আজ সাংবাদিক সম্মেলনে মাশরাফি বলেন, ‘বাংলাদেশের অধিনায়ক হিসেবে এটিই আমার শেষ ম্যাচ। যদি টিম ম্যানেজমেন্ট চায় তবে আমি আরো কিছুদিন খেলোয়াড় হিসেবে খেলবো। কিন্তু জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচটিই অধিনায়ক হিসেবে আমার শেষ।’
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচটি ১৬৯ রানে জিতে বাংলাদেশ। নিজেদের ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসে রান বিবেচনায় এটিই ছিলো সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয় টাইগারদের। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে টান-টান উত্তেজনা ছিলো। জিম্বাবুয়ের লোয়ার-অর্ডারের দৃঢ়তায় মাত্র ৪ রানে জয় পায় টাইগাররা। ফলে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে সিরিজ জয় নিশ্চিত করে ফেলে বাংলাদেশ। ফলে আবারো জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশের সুযোগ পেল টাইগাররা।
সব মিলিয়ে পঞ্চমবারের মত জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করতে পারলে মাশরাফিকে বীরের বেশেই বিদায় দিতে পারবে বাংলাদেশ।
অধিনায়ক মাশরাফির নেতৃত্বে ৮৭ ম্যাচে অংশ নিয়ে ৪৯টিতে জিতেছে বাংলাদেশ। যদি কাল তৃতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ জয় পায়, তবে মাশরাফির নেতৃত্বে ৫০টি ওয়ানডে ম্যাচে জয় পাবে টাইগাররা। দেশের অন্য কোন অধিনায়ক এমন কীর্তি গড়তে পারেননি।
অনন্য মাইলফলক সামনে থাকলেও, সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে জয়কে প্রধান লক্ষ্য করেছেন মাশরাফি, ‘যেকোন মাইলফলকের চেয়ে জয় হলো সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমরা খেলোয়াড়রা বাংলাদেশের জন্য জিততে খেলি, মাইলফলকের জন্য নয়। তাই আমরা, জিততেই খেলতে নামবো এবং এটিই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।’
দ্বিতীয় ম্যাচে জিম্বাবুয়ের পারফর্মেন্সের পর তাদেরকে সহজ ভাবে নেয়া যায়না।শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের নিজস্ব সমস্যা রয়েছে। পারফরমেন্স নিয়ে কোন চিন্তা নেই তাদের। কিন্তু তাদের একাদশের কম্বিনেশন নিয়ে ভাবতে হচ্ছে।
প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নুর বক্তব্য যদি বিবেচনা করা হয়, তবে শেষ ম্যাচটি খেলছেন না মুশফিকুর রহিম।
নান্নুর ভাষ্যমতে পাকিস্তানে সিরিজের একমাত্র ম্যাচের কথা চিন্তা করে এ দলটি সাজাতে ইচ্ছুক তারা। ইতোমধ্যে পাকিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র ওয়ানডের সূচি এগিয়ে আনা হয়েছে। ৩ এপ্রিলের পরিবর্তে তা হবে পহেলা এপ্রিল।
ইনজুরির কারনে শেষ ওয়ানডেতে অনিশ্চিত ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত। তার পরিবর্তে দলে এসেছেন সৌম্য সরকার।
তাই টানা দ্বিতীয়বারের মত উইনিং কম্বিনেশন ভাঙ্গতে যাচ্ছে বাংলাদেশ, এটি নিশ্চিত। দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও পরিবর্তন এনেছিলো টাইগাররা। মুস্তাফিজুর রহমান ও সাইফউদ্দিনের পরিবর্তে আল-আমিন হোসেন ও শফিউল ইসলাম খেলেছেন। তবে ম্যাচে দু’জনের কেউই ভালো পারফরমেন্স করতে পারেননি। কিন্তু অধিনায়ক মাশরাফি তাদের পাশেই ছিলেন। শিশিরের কারনে বল ধরতে সমস্যা হয়েছে বলে জানান ম্যাশ।
তৃতীয় ম্যাচটি হবে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের ৭৫তম ওয়ানডে লড়াই। আগের ৭৪ ম্যাচের মধ্যে বাংলাদেশ ৪৬টি ও জিম্বাবুয়ে ২৮টি ম্যাচে জয়লাভ করে।
সর্বশেষ ১৫ ম্যাচে বাংলাদেশের কাছে হেরেছে জিম্বাবুয়ে। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচের পারফরমেন্স তাদের উৎসাহিত করছে। শেষ ম্যাচে জিতে আত্মবিশ্বাস ফিরে পেতে মরিয়া জিম্বাবুয়ে। দলের অলরাউন্ডার তিতেন্ডা মুতুমবদজি বলেন, ‘দিনটি আমাদের করার চেষ্টা করবো এবং দ্বিতীয় ম্যাচটি আমাদের আত্মবিশ্বাসী করছে। আশা করি, তৃতীয় ম্যাচটি আমরা জিততে পারবো।’