১৩৩৮টি পদকের জন্য বঙ্গবন্ধু ৯ম বাংলাদেশ গেমসে লড়াই করবে ১০,৬০০ ক্রীড়াবিদ

253

ঢাকা, ৫ মার্চ ২০২০ (বাসস) : আগামী ১-১০ এপ্রিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে বঙ্গবন্ধু ৯ম বাংলাদেশ গেমস। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্মশত বার্ষিকীকে লক্ষ্য করে আয়োজিত এবারের বাংলাদেশ গেমসটি তার নিজস্ব স্বকীয়তায় ভিন্ন এক মাত্রা পাবে বলেই আয়োজক কমিটি বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ১ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে গেমসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।
বঙ্গবন্ধু ৯ম বাংলাদেশ গেমস উপলক্ষে আজ কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে এসব তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা, স্টিয়ারিং কমিটির চেয়ারম্যান শেখ বশির আহমেদ, সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মিকু, মিডিয়া এন্ড পাবলিসিটি কমিটির সদস্য সচিব কাজী রাজীব উদ্দিন আহমেদ চপলসহ অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
শেখ বশির আহমেদ জানিয়েছেন এবারের গেমসে ৩১টি ডিসিপ্লিনে ৩৯৬টি স্বর্ণ, ৩৯৬টি রৌপ্য ও ৫৪৬টি ব্রোঞ্জপদকসহ সর্বমোট ১৩৩৮টি পদকের জন্য ১০,৬০০জন ক্রীড়াবিদ লড়াই করবে। ২৩টি ভেন্যুতে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠান ছাড়াও গেমসের অন্যতম আকর্ষনীয় ইভেন্ট ফুটবল, এ্যাথলেটিক্স ও সাইক্লিং প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।
অন্যান্য ইভেন্টগুলো হলো আর্চারি, ব্যাডমিন্টন, বাস্কেটবল, বডিবিল্ডিং, বক্সিং, দাবা, ক্রিকেট, ফেন্সিং, গল্ফ, জিমন্যাস্টিকস, হকি, জুডো, কাবাডি, কারাতে, খো-খো, রোয়িং, রাগবি, রোলার স্কেটিং, সাঁতার, শ্যুটিং, টেবিল টেনিস, টেনিস, তায়কোয়ানডো, ভলিবল, হ্যান্ডবল, ভারোত্তোলোন, কুস্তি ও উশু।
বঙ্গবন্ধু ৯ম বাংলাদেশ গেমসের অফিসিয়াল লোগো ও মাসকট ‘কপোত’ আজ সংবাদ সম্মেলন শুরু হবার আগে উন্মুক্ত করা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু ৯ম বাংলাদেশ গেমস সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান পৃষ্ঠপোষক এবং অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালকে চেয়ারম্যান করে একটি শক্তিশালী সাংগঠনিক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই সাংগঠনিক কমিটির অধীনে রয়েছে ১৬টি উপ-কমিটি।
বিওএ মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকীকে স্মরণীয় করার জন্যই এবার মশাল প্রজ্জলনের ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী ৩১ মার্চ টুঙ্গীপাড়ায় গেমসের আনুষ্ঠানিক মশাল প্রজ্জলন করে তা ঐদিনই ঢাকায় নিয়ে আসা হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মশাল প্রজ্জলনের বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে বাংলাদেশ গেমসে শ্রেষ্ঠত্ব দেখানো ক্রীড়াবিদ ও সাবেক তারকা ক্রীড়াবিদদের মধ্য থেকেই এবারের গেমসের মশাল প্রজ্জলনের জন্য ক্রীড়াবিদদের বেছে নেয়া হবে। ইতোমধ্যেই এ ব্যপারে একটি খসড়া তালিকা করা হয়েছে যা আগামী ১০ মার্চ সাংগঠনিক কমিটির সভায় চূড়ান্ত হবে। গেমস উপলক্ষে একটি থিম সংও রচিত হয়েছে যার কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে।
নেপালে সদ্য সমাপ্ত এসএ গেমস থেকে আসার পরপরই বঙ্গবন্ধু ৯ম বাংলাদেশ গেমসে অংশগ্রহণকারী ফেডারেশনগুলোর সাথে আলোচনা শুরু করেছিল বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশন। পরবর্তীতে এপ্রিলের ১-১০ তারিখ গেমস আয়োজনের তারিখ চূড়ান্ত হবার পর ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি নাগাদ সংশ্লিষ্ট ফেডারেশনগুলোকে প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়। তারই প্রেক্ষিতে যথাযথ প্রস্তুতির জন্য ইতোমধ্যেই অর্থছাড়ও দেয়া হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে।
২০১৮ সালে প্রথমবারের মত আয়োজিত বাংলাদেশ যুব গেমস থেকে এবারের বাংলাদেশ গেমসে প্রায় সাড়ে ১২শ’ ক্রীড়াবিদ অংশ নিচ্ছে বলে জানা গেছে। মূলত যুব গেমস থেকে জাতীয় পর্যায়ে নিজেদের নিয়ে আসাটা একজন ক্রীড়াবিদসহ সংশ্লিষ্ট ফেডারেশনটিও একটি বড় অর্জন বলেই বিওএ মনে করছে। আর এতে করে কার্যত বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনই লাভবান হয়েছে। মূলত এই উদ্দেশ্যেই যুব গেমস আয়োজন করা হয়েছিল যা দেশব্যাপী ক্রীড়াঙ্গনে দারুন সাড়া ফেলেছিল। এসএ গেমসে সাফল্যের মূলেও এই যুব গেমসের সফলতাকেই কারন হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।