এমবাপ্পের হ্যাটট্রিকে ফরাসি কাপের ফাইনালে পিএসজি

155

লিঁও, ৫ মার্চ ২০২০ (বাসস) : কিলিয়ান এমবাপ্পের হ্যাটট্রিকে সেমিফাইনালে লিঁওকে ৫-১ গোলে বিধ্বস্ত করে ফরাসি কাপের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে প্যারিস সেইন্ট-জার্মেই।
এই তিন গোলে এবারের মৌসুমে সব ধরনের প্রতিযোগিতায় এমবাপ্পে সর্বমোট ৩০টি গোল করার কৃতিত্ব দেখালেন। ৬১ মিনিটে লিঁওর ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার ফার্নান্দো মারকাল লাল কার্ড দেখে মাঠের বাইরে চলে গেলে পিএসজির জয় সহজ হয়। ৬৪ মিনিটে নেইমার পেনাল্টি স্পট থেকে পিএসজিকে ২-১ গোলে এগিয়ে দেন।
এই পরাজয়ের মাধ্যমে টানা পাঁচ ম্যাচ পর জয়ের ধারা থেকে বেরিয়ে আসলো লিঁও। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গত সপ্তাহেই ইতালিয়ান জায়ান্ট জুভেন্টাসের বিপক্ষে ১-০ গোলের দারুন জয় তুলে নিয়েছে ফ্রেঞ্চ দলটি। পরের ম্যাচে লিগ ওয়ানে স্থানীয় প্রতিদ্বন্দ্বী সেইন্ট-এতিয়েনকে ২-০ গোলে পরাজিত করেছে লিঁও।
পিএসজি কোচ থমাস টাচেল বলেছেন, ‘এটা সত্যিকার অর্থেই পুরো দলের দারুন একটি পারফরমেন্স ছিল। ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে ২-১ গোলে পরাজিত হবার পর এমবাপ্পে চমৎকার ভাবে ফিরে এসেছে। এই মুহূর্তে সে দারুন ফর্মে আছে।’
১১ মিনিটে মার্টিন টেরিয়ার গোল করে স্বাগতিক লিঁওকে এগিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু স্বাগতিকদের এই জয় বেশীক্ষন স্থায়ী হয়নি। তিন মিনিটের মধ্যেই এমবাপ্পে পিএসজির হয়ে সমতা ফেরান। ২১ বছর বয়সী ফ্রেঞ্চম্যান ৬৪ মিনিটে পিএসজির পেনাল্টি আদায়ের নায়ক ছিলেন। লেফট উইং দিয়ে বল সংগ্রহ করে দুজন লিঁও ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে এডিনসন কাভানির উদ্দেশ্যে ক্রস করে দেন এমবাপ্পে। কাভানিকে আটকাতে তখন সামনে ছিলেন শুধুমাত্র মারকাল। কাভানি শট নিতে গেলে মারকালের হ্যান্ডবলে প্রাপ্ত পেনাল্টি থেকে পিএসজিকে এগিয়ে দেন নেইমার। হ্যান্ডবলটি অবশ্য ভিএআর প্রযুক্তির সহায়তায় নিশ্চিত করা হয়। একইসাথে দ্বিতীয় হলুদ কার্ডের কারনে মারকাল মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন। ম্যাচ শেষের ২০ মিনিট আগে একক প্রচেষ্টায় পিএসজির হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন এমবাপ্পে। ৮১ মিনিটে লো স্ট্রাইকে পাবলো সারাবিয়া চতুর্থ গোলটি করার পর স্টপেজ টাইমে এমবাপ্পে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন।