নিজের রেকর্ডটি খুব বেশি স্থায়ী হবে মনে করছেন না তামিম

311

ঢাকা, ৪ মার্চ ২০২০ (বাসস) : জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ১৫৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন বাংলাদেশের ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবাল। এটি তার ক্যারিয়ারের ও বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের ইনিংস। কিন্তু তামিম মনে করেন না, তার রেকর্ডটিই দীর্ঘস্থায়ী হবে। খুব শীঘ্রই তার রেকর্ড ভাঙ্গবে বলে মনে করেন তিনি। এজন্য চার ব্যাটসম্যানকে বাছাইও করলেন তামিম। তার মতে, মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন শান্ত বক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস গড়তে পারেন।
তামিম বলেন, ‘আমি মনে করি না, রেকর্ডটি দীর্ঘস্থায়ী হবে। আমি মনে করি, খুব শীঘ্রই এটি ভেঙ্গে যাবে। সম্ভবত আগামী বছর বা আগামী দুই-তিন বছরের মধ্যে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মুশফিক রহিম এটি ভাঙ্গার সামর্থ্য রাখে, এমনকি লিটনও। প্রায়ই বড় ইনিংস খেলেন শান্ত। সেও এই রেকর্ডটি করতে পারেন।’
তামিমই একমাত্র ব্যাটসম্যান, যে কি-না বাংলাদেশের পক্ষে ওয়ানডেতে দু’বার দেড়শর রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। প্রথমবার ২০০৯ সালে বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৫৪ রান করেছিলেন তিনি। ঐ ম্যাচে ৩১৩ রানের টার্গেট চেজ করে ম্যাচ জিতেছিলো বাংলাদেশ।
দু’টি দেড়শ রানের মধ্যে প্রথমটিকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন তামিম। কারন ঐ ম্যাচে তামিমের ইনিংসে ভর করে বড় স্কোর তাড়া করে ম্যাচ জিতেছিলো বাংলাদেশ।
তামিম বলেন, ‘প্রথমবারের মত কোন ম্যাচে আমরা ৩শর বেশি রান চেজ করে জিতেছিলাম। তাই ১৫৮র চাইতে ১৫৪ স্কোরটিই এগিয়ে। ঐসময়, কেউই ভাবেনি ৩শ রান তাড়া সক্ষম হবে। এখন ৩শ রান তাড়া সহজ। কিন্তু ২০০৯ সালে ৩শ ছিলো ৪শ রানের সমান।’
দেড়শ করার পর ডাবল সেঞ্চুরি করার চিন্তা মনের মধ্যে উঁিক দেয়নি তামিমের। এমনটা জানান তিনি, ‘আমি তা ভাবিনি। আমি তখনও ২শ থেকে ৫০ রান দূরে ছিলাম। যদি আমি ২০ বা ৩০ রান দূরে থাকতাম, তবে আমি বলতাম ২শ রান নিয়ে ভেবেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি যা ভেবেছিলাম, দ্বিতীয় ইনিংসে উইকেট আরও ভালো হয়। তাই আমার উদ্দেশ্য ছিলো, যত দ্রুত স্কোর করা। প্রথম ইনিংসে ব্যাট করা কঠিনই ছিলো, কারন উইকেটে বাউন্সার ছিলো। আমাদের একজন ব্যাটসম্যান কম ছিলো। তাই আমি ভেবেছিলাম, যত দ্রুত রান করা যায়। দুভার্গ্যক্রমে, আমি এমন একটি ডেলিভারিতে আউট হয়েছি, যা আমার আয়ত্বের মধ্যে ছিলো না।’