মার্কিন প্রতিনিধিদলের সাথে কৃষিমন্ত্রীর বৈঠক

228

ঢাকা, ৪ মার্চ, ২০২০ (বাসস): বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলারের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাকের সাথে বুধবার সচিবালয়ে তার কার্যালয়ে বৈঠক করেছেন।
এ সময় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসিরুজ্জামান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো: আব্দুল ম্ঈুদ ও তুলা উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক ড. ফরিদ উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
কৃষিমন্ত্রী এ সময় প্রতিনিধিদলকে বলেন, বাংলাদেশে বিগত ১১ বছরে অর্থনৈতিক সামাজিক বিভিন্ন দিকে প্রভূত উন্নতি সাধন করেছে। দেশের খোরপোষের কৃষি আজ বাণিজ্যিক কৃষিতে উপণিত হয়েছে। কৃষির বহুমুখিকরণের ফলে কৃষক অপ্রচলিত উন্নত ফসল উৎপন্ন করছে।
আব্দুর রাজ্জাক আরো বলেন, সরকার কৃষি উৎপাদন খরচ হ্রাসের লক্ষ্যে ক্রমান্বয়ে শতভাগ যান্ত্রকীকরণে দিকে অগ্রসর হচ্ছে। কৃষিকে লাভজনক করতে কৃষি প্রক্রিয়াজাত ও রপ্তানী অপরিহার্য। এক্ষেত্রে প্রক্রিয়াজাত ও টেকনিক্যাল খাতে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চায় বাংলাদেশ।
প্রতিনিধিদলের সদস্য ক্রিস্টোফার উইলসন বলেন, বাংলাদেশ আমেরিকা থেকে তুলা আমদানি করে। তুলা আমদানিতে ডাবল ফিউমিগেসন এর ফলে খরচ বেশী হয়। সেই ক্ষেত্রে ফিউমিগেসন একবার করা হলে খরচ কম হবে। তুলা আমদানির পর এর সঙ্গে কোনও রোগ-জীবাণু আছে কিনা তা পরীক্ষার জন্য বন্দরে ফিউমিগেসন করতে হয়। এ জন্যও আমদানিকারকদের চার্জ দিতে হয়। যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলা আমদানি করার সময় একবার ফিউমিগেসন করা হয়। সেই তুলা দেশে আনার পর আবার ফিউমিগেসন করা হয়। এতে খরচ বাড়ে।
ফিউমিগেসন সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, ফিউমিগেসন কমাতে হলে আমাদের বিদ্যমান আইন সংশোধন করতে হবে। তবে এ ব্যাপারে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে কথা বলে যা ভালো হবে তাই করা হবে। এসময় ট্রেড এন্ড ইনভেস্টমেন্ট কো- অপারেশন ফোরাম এগ্রিমেন্ট (টিকফা’র) এর বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা হয়। আগামী টিকফা সভায় বাংলাদেশের কোন বিষয় আছে কিনা তাও জানতে চান প্রতিনিধিবৃন্দ।
কৃষির উন্নয়নে প্রক্রিয়াজাত ও টেকনিক্যাল খাতে মার্কিন সরকার সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন। বিশেষ করে কৃষির প্রক্রিয়াজাত, আধুনিকায়ন, বাজারজাতকর ও যান্ত্রীকিকরণে। এ খাতে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ানো, কৃষির গবেষণা ও প্রশিক্ষণেও সহায়তার কথা বলেন রাষ্ট্রদূত।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশী পেয়াজ বাজারে আসা শুরু করলে পেয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে এসে যাবে। পেয়াজের মৌসুমে পেয়াজ আমদানি বন্ধের আলোচনার কথা বলেন তিনি।