রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে আইএইএ’কে সহায়তার আহ্বান রাষ্ট্রপতির

852

ঢাকা, ৪ জুলাই, ২০১৭ (বাসস) : রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সফল বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে ইন্টারন্যাশনাল এটমিক এনার্জি এজেন্সি (আইএইএ)-র প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী সিনেট ভবনে এক বিশেষ সমাবর্তনে বলেন, বাংলাদেশ তার বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করছে। এই প্রকল্পের সফল বাস্তবায়ন ও পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারে আইএইএ’র সহায়তা অরিহার্য।
আইএইএ’র মহাপরিচালক ইয়ুকিয়া আমানোকে ডক্টর অব লজ ডিগ্রী প্রদান উপলক্ষ্যে এ সমাবর্তনের আয়োজন করা হয়।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ একটি কৃষি প্রধান দেশ হলেও এখানে শিল্পায়ন ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য রেড়ে চলছে। এতে বিদ্যুতের চাহিদাও বাড়ছে। কিন্তু বিদ্যুৎ ও জ্বালানীর অত্যধিক চাহিদার কারণে তেল ও গ্যাসের উৎস কমে আসছে। ২০০৯ সালে বাংলাদেশে প্রতিদিন প্রায় ৪ হাজার ৯৪২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে। বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৩৭৯ মেগাওয়াট এবং ২০২১ সালে তা ২৪০০০ মেগাওয়াটে উন্নীত হবে।
তিনি বলেন, ২০১১ সালে জাপানের ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দুর্ঘটনার পর বাংলাদেশেও পারমাণবিক শক্তি সম্পর্কে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে।
রাষ্ট্রপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর আবদুল হামিদ আইএইএ’র মহাপরিচালককে ডক্টরেট ডিগ্রী প্রদানকালে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ ও অস্ত্রবিস্তার রোধের কূটনীতির পাশাপাশি পারমাণবিক জ্বালানী ইস্যুতে তার ব্যাপক অভিজ্ঞতার উল্লেখ করে বলেন, আমার বিশ্বাস এটি আইএইএ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সেতু বন্ধন হবে। বাংলাদেশের মানুষ এ দেশের পারমণবিক কর্মসূচিতে আইএইএ’র ভূমিকায় খুবই কৃতজ্ঞ।
ভাষণের শুরুতে রাষ্টপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ, ভাষা আন্দোলনের বীর সেনানী এবং বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সাহসী ভূমিকা পালনকারীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে উচ্চ শিক্ষার পবিত্র স্থান হিসেবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, এ সব প্রতিষ্ঠানের কারিকুলামে যুগোপযোগী পরিবর্তন আনতে হবে।
আইএইএ’র মহাপরিচালক আমানো সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তৃতা করেন। ঢাবি ভাইস চ্যান্সেলর আআমস আরেফিন সিদ্দিক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, সংসদ সদস্যবৃন্দ, কূটনীতিক, প্রো- ভাইস চ্যান্সেলর, সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য এবং অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।