বাসস দেশ-২২ : বিএসএমএমইউয়ের গবেষণায় ৯ দশমিক ৮ শতাংশ নবজাতক জন্মগত ত্রুটিতে আক্রান্ত

107

বাসস দেশ-২২
জন্মগত ত্রুটি-দিবস
বিএসএমএমইউয়ের গবেষণায় ৯ দশমিক ৮ শতাংশ নবজাতক জন্মগত ত্রুটিতে আক্রান্ত
ঢাকা, ৩ মার্চ, ২০২০ (বাসস) : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ২০১৯ সালে চিকিৎসা নিতে আসা নবজাতকদের মধ্যে জন্মগত ত্রুটির হার ছিল ৯ দশমিক ৮ শতাংশ। বিশ্বে প্রতি ৩৩ জন শিশুর মধ্যে ১ জন এ ত্রুটি নিয়ে জন্মায়।
আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ব্লক অডিটোরিয়ামে বিএসএমএমইউয়ের নবজাতক বিভাগ পরিচালিত দেশের ২০টি হাসপাতাল নিয়ে জন্মগত ত্রুটির সার্ভিলেন্স ও গবেষণা প্রকল্প ‘নিউবর্ন বার্থ ডিফেক্ট (এন.বি.বি.ডি) সার্ভিলেন্স ইন বাংলাদেশ’ এর গবেষণায় এ তথ্য জানানো হয়।
এতে জানানো হয়, বিশ্বে প্রতি বছর শুধুমাত্র জন্মগত ত্রুটির কারণে জন্মের ২৮ দিনের মধ্যে প্রায় ৩ লক্ষ শিশু মারা যায়। শিশু মৃত্যুর এই প্রভাব এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অনেকাংশে বিরূপ প্রভাব ফেলে।
গবেষণা অনুযায়ী সারা বিশ্বের মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় জন্মগত ত্রুটির প্রবণতা সবচেয়ে বেশি।
সারা পৃথিবীতে নবজাতকদের মাঝে জন্মগত ত্রুটির হার প্রতি ১০০ জনে ৩ থেকে ৬ জন (৩-৬%)।
বিশ্ব জন্মগত ত্রুটি দিবস উপলক্ষে বিশ্ব সাস্থ্য সংস্থা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, বাংলাদেশ নিওনেটাল ফোরাম ও বাংলাদেশ পেরিন্যাটাল সোসাইটির সহযোগিতায় নবজাতকের জন্মগত ত্রুটির উপর সিএমই প্রোগ্রামের আয়োজনের মাধ্যমে দিবসটি উদযাপন করা হয়।
এবারে দিবসটির প্রতিপাদ্য হলো ‘মেনি বার্থ ডিফেক্ট, ওয়ান ভয়েস’।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়–য়া।
বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. সাহানা আখতার রহমান, স্বাস্থ্য অধিপ্তরের লাইন ডিরেক্টর ডা. সামসুল হক খান।
সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য, নবজাতক বিভাগের বর্তমান চেয়ারম্যান, নিউবর্ন বার্থ ডিফেক্ট (এন.বি.বি.ডি) সার্ভিলেন্স ইন বাংলাদেশ-এর প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন নবজাতক বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল মান্নান, অবস এন্ড গাইনী বিভাগের অধ্যাপক ডা. বেগম নাসরিন।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব সাস্থ্য সংস্থার ডা. মাহবুবা খান, বিশ্ববিদ্যালয়ের নবজাতক বিভাগের অধ্যাপক ডা. সঞ্জয় কুমার দে, ডা. সাদেকা চৌধুরী মনি, ডা. মোহাম্মদ কামরুল হাসান সবুজ প্রমুখ।
বাসস/সবি/এসএস/এসই