বাসস দেশ-১৫ : ডিআইজি মিজানের স্ত্রী-ভাইকে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ

96

বাসস দেশ-১৫
ডিআইজি মিজান-বিজ্ঞপ্তি
ডিআইজি মিজানের স্ত্রী-ভাইকে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ
ঢাকা, ৩ মার্চ, ২০২০ (বাসস) : সাময়িক বরখাস্তকৃত পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রতœা ও ছোট ভাই মাহবুবুর রহমানকে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার তাদের গ্রেফতার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তাদের গ্রেফতার করা যায়নি বলে পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল করলে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েস আসামিদের আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেন।
আগামী ২ এপ্রিল মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন আদালত।
২৪ জুন ৩ কোটি ৭ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন ও ৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা অবৈধভাবে অর্জনের অভিযোগে মিজানুরের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলায় মিজানুর রহমান, তার স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রতœা, ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগ্নে পুলিশের কোতয়ালি থানার এসআই মো. মাহমুদুল হাসানকে আসামি করা হয়।
গত ৩০ জানুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ এ চার্জশিট দাখিল করেন। দুদকের দায়ের করা এ মামলায় মিজান ছাড়াও চার্জশিটভুক্ত অপর আসামিরা হলেন, ডিআইজি মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রতœা ওরফে রতœা রহমান, ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগ্নে মাহমুদুল হাসান।
গত ৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েস অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
গত ১ জুলাই হাইকোর্টে আগাম জামিনের জন্য গেলে ডিআইজি মিজানকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ। এ সময় মিজানকে তাৎক্ষণিক হাইকোর্ট পুলিশের হাতে তুলে দেন আদালত। গ্রেফতারের পর তাকে শাহবাগ থানায় নেয়া হয়।
পরদিন ডিআইজি মিজানের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত।
মিজানুর রহমান ঢাকা মহানগর পুলিশে (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বিয়ে গোপন এবং নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ত্রীকে গ্রেফতার করানোর অভিযোগ উঠেছিল তার বিরুদ্ধে। এছাড়া এক সংবাদ পাঠিকাকে প্রাণনাশের হুমকি ও উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করা হয়েছিল। নারী নির্যাতনের অভিযোগে গত বছরের জানুয়ারির শুরুর দিকে তাকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত করা হয়।
এরপর দুদক কর্মকর্তার সঙ্গে ঘুষ লেনদেনের বিষয়টি সামনে আসার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ডিআইজি মিজানকে সাময়িক বরখাস্তের একটি প্রস্তাব রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়। পরে ২৫ জুন মিজানুর রহমানকে সাময়িক বরখান্ত করার প্রস্তাবে অনুমোদন দেন রাষ্ট্রপতি।
বাসস/সংবাদদাতা/এফএইচ/১৬৫৫/-আসাচৌ