বাসস ক্রীড়া-১২ : ‘ক্ষুধা’ লিটনকে সেরাটা এনে দিয়েছে

142

বাসস ক্রীড়া-১২
ক্রিকেট-লিটন দাস-বাংলাদেশ
‘ক্ষুধা’ লিটনকে সেরাটা এনে দিয়েছে
সিলেট, ২ মার্চ ২০২০ (বাসস) : লিটন দাসের মধ্যে যে মেধা রয়েছে সেটি নিয়ে কোন সন্দেহ ছিলনা। কিন্তু সক্ষিপ্ত আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ব্যাট হাতে তিনি এর প্রতিফলন ঘটাতে ব্যর্থ হচ্ছিলেন। বেশীরভাগ সময় তিনি ভাল সুচনা করেও শেষ পর্যন্ত সেটি ধরে রাখতে পারেননি। ফলে হতাশ হয়েছে সমর্থক ও টিম ম্যানেজমেন্ট।
তবে শুরুটা হাতছাড়া না করলে তিনি যে কি করতে পারেন সেটি রোববার দেখিয়ে দিয়েছেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে। তার ১০৫ বলে করা ১২৬ রানের ইনিংসটি বাংলাদেশকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৬৯ রানের রেকর্ড জয়ে সহায়তা করেছে। এ সেঞ্চুরিটি বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে ‘চমৎকার সেঞ্চুরির’ একটি হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। ওয়ানডে ক্রিকেটে এটি ছিল লিটন দাসের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। এর আগে ২০১৮ সালে এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে ১২১ রানের একটি ক্লাসিক সেঞ্চুরি উপহার দিয়েছিলেন তিনি।
রোববার পেশীর ইনজুরির কারণে আহত অবসর নেয়ার আগে একবারের জন্যও মনে হয়নি লিটনকে আউট করতে পারবে জিম্বাবুয়ের কোন বোলার। এ সময় তিনি সফরকারী বোলারদের শুধু শায়েস্তাই করেননি, একই সঙ্গে ব্যাটকে একেক সময় একেক দিকে ঘুরিয়ে রানের চাকা সচল রেখেছেন। এ সময় অপর প্রান্তে ধীরস্থির ব্যাটিং দিয়ে তাকে সঙ্গ দিয়েছেন তামিম ইকবাল।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে তাকে দেখেই মনে হচ্ছিল তিনি বড় স্কোর গড়ার জন্য মুখিয়ে আছেন। লিটনের এ চেহারাটিই মুগ্ধ করেছে বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং পরামর্শক নেইল ম্যাকেঞ্জিকে। তিনি বলেছেন, এই মনোভাব ধরে রাখতে পারলে লিটন আরো অনেক সেঞ্চুরি পাবে।
আজ সিলেটে বাংলাদেশ দলের ঐচ্ছিক অনুশীলনের সময় ম্যাকেঞ্জি বলেন,‘ আমার মনে হয় সে সবে মাত্র পরিণত হতে শুরু করেছে। সে যে কি করতে পারে তার একটি নমুনা এই ব্যাটসম্যান দেখিয়েছে। তাকে রানের জন্য ক্ষুধার্ত মনে হয়েছে এবং এটি ছিল তার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। খেলাটি নিয়ে তার সত্যি মনোমুগ্ধকর। আশা করি সে আরো অনেক সেঞ্চুরি হাকাতে পারবে।’
বড় স্কোর করে লিটন নিজেকে সেরাদের একজন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার পরও ম্যাকেঞ্জি বলেছেন, আরো গভীরে যেতে পারে সেটি নিয়ে তিনি কাজ করবেন। ব্যাটিংয়ের সময় তার মধ্যে কিছু মানিয়ে নেয়ার কৌশল অবলম্বন করতে দেখা গেছে। ম্যাকেঞ্জির পরামর্শে কঠোর পরিশ্রমের ফসল হিসেবে লিটন এই পুরস্কার পেয়েছে উল্লেক করে তিনি বলেন,‘ আমার মতে সে সেরা পজিশন নিয়ে খেলার চেস্টা করেছে। তার মধ্যে ভাল রক্ষনের সামর্থ্য এবং সুযোগ বুঝে আক্রমনাত্মক খেলার প্রবনতা দেখা গেছে। আমার মতে ভাল পজিশনের কারণে সে সেট হয়ে গিয়েছিল।’
ম্যাকেঞ্জির মতে লিটনের জন্য ভাল দিক হচ্ছে , যখন একজন বোলার ভাল বল করেন তখন সে তাকে সমীহ করে। তবে কখনো একক রান নিয়ে রানের চাকা সচল রাখতে ভুলে না। তিনি বলেন,‘ তার মুল শক্তি হচ্ছে খারাপ বল পেলে সেটিকে শায়েস্তা করা। খারাপ বল পেলেই সেটির উপর ঝাপিয়ে পড়ে। এটি সত্যিই ইতিবাচক দিক। আর ভাল বল পেলে সেটিকে সে বেশ সমীহ করে ব্যাট ঘুরিয়ে কাজে লাগানোর চেস্টা করে। এটি নিয়ে সে অনেক কাজ করেছে। সে ভাল একটি শতক , বড় শতক হাকিয়ে বাংলাদেশের জয়ে দারুন ভুমিকা রেখেছে।’
বাসস /এসএমপি/অনু/এমএইচসি/১৮৪০/-স্বব