বাসস দেশ-২৩ : নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে

249

বাসস দেশ-২৩
১৪ দল-সমাবেশ
নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে
ঢাকা, ১ মার্চ, ২০২০ (বাসস) : কেন্দ্রীয় ১৪ দলের নেতারা নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানিয়েছেন।
তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীদের উপযুক্ত সম্মান দিয়েছেন। নারী নির্যাতন প্রতিরোধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছেন। তাই মুজিব বর্ষে আমাদের নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। মুজিব বর্ষে যদি সকল অপশক্তিকে পরাজিত করতে পারি, তাহলেই আমাদের এই বর্ষ পালন স্বার্থক হবে।
আজ রোববার বিকেলে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিখা চিরন্তনের সামনে ‘শেখ হাসিনার নির্দেশ নারী ও শিশু নির্যাতনে, রুখে দাঁড়াবে বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এ কথা বলেন। মুজিব বর্ষ উপলক্ষে কেন্দ্রীয় ১৪ দল এই সমাবেশের আয়োজন করে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এবং কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিমের সভাপতিত্বে সভায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী ও শাজাহান খান, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়–য়া, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম ও এডভোকেট কামরুল ইসলাম, তথ্যপ্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহম্মেদ মান্নাফি, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কন্ঠশিল্পী রফিকুল আলম, বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, সাবেক সংসদ সদস্য সারা বেগম কবরী, জাতীয় পার্টি-জেপির মহাসচিব শেখ শহিদুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
আমির হোসেন আমু বলেন, যে দেশের প্রধানমন্ত্রী নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে অবদানের জন্য পুরস্কার পায় সেই দেশে নারী নির্যাতন চলতে পারে না। আমাদের যে কোন মূল্যে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ করতে হবে। মুজিব বর্ষে সকল অপশক্তিকে পরাজিত করতে পারলেই আমাদের এই বর্ষ পালন স্বার্থক হবে।
তিনি বলেন, ৭১-এর পরাজিত ও স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি এসব অবক্ষয় সৃষ্টি করে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে ছোট করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সকল অর্জনকে ম্লান করতে চাইছে। তাই নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে আমাদের সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভূমিকা রেখে চলেছেন। নারীদের ক্ষেত্রে অবদানের জন্য তাঁর নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
বঙ্গবন্ধুর শাহাদতবার্ষিকীতে কেক কেটে রাজনৈতিক বিভেদ উস্কে দেয়া বিএনপিকে অতীতের ভুল স্বীকার করে ‘মুজিব বর্ষে’ কর্মসূচিতে অংশ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, যারা বঙ্গবন্ধুকে অশ্রদ্ধা করেছে, বঙ্গবন্ধুর শাহাদতবার্ষিকীতে যারা কেক কেটেছে; তাদের সঙ্গে কোনোদিন আপোষ হবে না, হওয়ার সম্ভবনা নেই। স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিকে বলতে চাই, যদি লজ্জা থাকে, শরম থাকে নিজেদের অপরাধ স্বীকার করে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালন করুন।
নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে আইনগতভাবে কঠোর পদক্ষেপের পাশপাশি সামাজিক আন্দোলনের ওপর গুরুত্বরোপ করে আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীকে সামনে রেখে অভিভাবক, নারী সমাজ, জনগণকে বলতে চাই, ওই দানবদের রুখতে হবে। দেশের সাহসী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি নুসরাত হত্যাকান্ডের বিচার করেছেন। নেত্রী শেখ হাসিনা জঙ্গি দমন করেছেন, বিএনপির সৃষ্ট অন্ধকার থেকে আলোকিত করেছেন, সেই সরকারের শাসনামলে কোনো নারী-শিশু নির্যাতিত হতে পারে না।
নারী ও শিশু নির্যাতনকারীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে আদালতের সময় সংক্ষিপ্ত করার আহবান জানিয়ে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, আইনমন্ত্রীর প্রতি আহবান জানাবো, এই সকল অপরাধীদের চরম দন্ড নিশ্চিত করার জন্য, বিচার প্রক্রিয়ার যে দীর্ঘ সময় প্রয়োজন, তা সংক্ষিপ্ত করতে হবে। বিচার প্রক্রিয়ায় সময় দীর্ঘ হলে অপরাধীরা ফাঁক ফোকর দিয়ে বের হয়ে যায়। তাই এই সকল অপরাধীদের বিচারের ক্ষেত্রে কালক্ষেপন করা যাবে না।
বাসস/এএসজি/বিকেডি/২০০৭/-কেজিএ